ছবি: সংগৃহীত
একটি ভিডিও ও ছবি ঘিরে অভিযোগ উঠেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ তার সামনে রাখা কোকেন লুকানোর চেষ্টা করছেন। তবে এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও ভুয়া সংবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফ্রান্স। একটি ট্রেনের কামরায় মাখোঁর পাশে সেই সময়টিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও জার্মান রাজনীতিক ফ্রিডরিখ মের্ৎস উপস্থিত ছিলেন। খবর ডেইলি মেইলের।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের ওই তিন নেতা সে সময় পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেন যাচ্ছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর কূটনৈতিক প্রয়াসই ছিল এ সফরের উদ্দেশ্য।
সফরের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে রাশিয়াপন্থী কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দাবি করা হয়—ভিডিওতে টেবিলের ওপর একটি সাদা পাউডারের ব্যাগ দেখা যায় এবং ক্যামেরা দেখে এটি মাখোঁ দ্রুত তুলে নেন, পরে নিজের বাহুর নিচে লুকিয়ে ফেলেন।
কেউ কেউ দাবি করেন, সেটি কোকেনের ব্যাগ আর ফ্রিডরিখ মের্ৎস কোকেন খাওয়ায় ব্যবহৃত একটি চামচ লুকিয়ে ফেলেছেন।
একটি এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, ‘মাখোঁ, স্টারমার ও মের্ৎস কিয়েভ থেকে ফেরার পথে ভিডিওতে ধরা পড়েছেন। টেবিলে সাদা পাউডারের ব্যাগ, মাখোঁ সেটি পকেটে পুরে ফেলেন, মের্ৎস লুকান চামচ। কোনো ব্যাখ্যা নেই।’
এ দাবি দ্রুতই ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে খণ্ডন করা হয়। এলিসি প্রাসাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘যখন ইউরোপীয় ঐক্য কিছু পক্ষের কাছে অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে, তখন মিথ্যা তথ্য এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, একটি সাধারণ টিস্যুকেও মাদক হিসেবে দেখানো হয়।’
আরও বলা হয়, ছবিতে দেখা যাওয়া বস্তুটি ছিল একটি সাদা রুমাল বা টিস্যু। প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে এক্সে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তিন নেতা হাত মেলাচ্ছেন। ক্যাপশনে লেখা হয়—‘এটাই ইউরোপীয় ঐক্য।’
ফরাসি সরকারের দাবি, দেশের ভেতরে ও বাইরে থাকা শত্রুরাই এ ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ইউরোপের চরম ডানপন্থী প্রোপাগান্ডাকারীরাও রয়েছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার ও ইউরোপের অন্যান্য নেতারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দেন, পুতিন যদি এতে রাজি না হন, তাহলে ইউরোপ ও আমেরিকা মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন