বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ আয়োজনে অষ্টম ‘সংযোগ’ আসর অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩০ অপরাহ্ন, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সুখবর

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ আয়োজনে ‘সংযোগ’-এর অষ্টম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও কলেজের প্রাক্তনী সংসদ কর্তৃক আয়োজিত এই আয়োজনের ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হক, সংসদ সদস্য, মানবাধিকারকর্মী ও শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাতনী আরোমা দত্ত, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি জয়ন্ত বক্সী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীড়িতদের জন্য নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলতে চাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মাইলফলক।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, আজ যারা এখানে সীমানা পেরিয়ে এসেছেন, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে বাংলার সৌন্দর্য, কৃষ্টি, আমাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আমাদের অভিন্ন সংস্কৃতির শক্তি।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এই শহিদ মিনার হচ্ছে সেই স্থান যেখানে এসে বাঙালিরা সংকটে দাঁড়ায়, আবেগে দাঁড়ায়, শপথ নেয় এবং ঘুরে দাঁড়ায়। আজ বিশ্বায়নের কারণে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাষাগুলো সংকটের মধ্যে আছে। শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে তিনি সেইসব ভাষাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আরোমা দত্ত তার বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং সেই সময়ে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের লোমহষর্ক সাহসিকতার গল্প তুলে ধরেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি দেবজ্যোতি বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক কে এম তানভীরুল হক বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও আমরা দুই বাংলার যৌথ এ আয়োজনে অংশ নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, সীমানার দুই পাড়ের বাংলা সংস্কৃতির ইতিবাচক বিনিময় ও অসাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করা সম্ভব। মূলত এ লক্ষ্য থেকেই প্রতি বছর আমরা এই আয়োজনটি করে থাকি। 

আরও পড়ুন: ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে ‘নকশী কাঁথা’র প্রামাণ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শন

সুন্দর আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ প্রাক্তনী সংসদের পক্ষ থেকে দীপন দাস আগামী বছরগুলোতেও এই আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্যদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ‘রক্ত শিমুল তপ্ত পলাশ’ এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা ‘ঘরে ফেরার গান’ দর্শকদের আকৃষ্ট করে।

সার্বিক বিষয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী।

এসকে/ 

বাংলাদেশ-ভারত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ

খবরটি শেয়ার করুন