রবিবার, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০১:৪২ অপরাহ্ন, ৩১শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি - সংগৃহীত

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরও দ্রব্যমূল্য কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের নাগালে আসছে না। যার কারণে  নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ প্রচণ্ড অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন। সরকারের সামনেও প্রধান চ্যালেঞ্জ বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলা।

বন্যার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা কাটছে না। বিপুল সংখ্যক কনটেইনার মহাসড়কে আটকে থাকছে। ফলে পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। বন্যার পানি কমতে থাকায় সীমিত পরিসরে গাড়ি চললেও এখনো মহাসড়কে পণ্যবাহী হাজার হাজার কনটেইনার আটকে রয়েছে। যা কিছু চলছে তা খুবই ধীরগতিতে। যার জন্য সরবরাহ চেইন প্রায় ভেঙে পড়েছে। সরবরাহের তুলনায় যোগান কম থাকায় এক শ্রেণির মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি দুই-চার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। সবজির কেজি শতকের নিচে নেই বললেই চলে। ডিম মাছ মাংসের বাজারে স্বস্তি নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই ঊর্ধ্বমুখী। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চালের অনেক মিল ডুবে গেছে। মজুদ করা ধান ও চাল নষ্ট হয়েছে। এতে বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ফলে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এটা ব্যবসায়ীদের একটা অজুহাত। সংকট হলে দাম বাড়ানো তাদের একটা নেশা।

কোনোভাবেই পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলছে। সর্বস্তরে পড়েছে মূল্যস্ফীতির প্রভাব। বাজার কোনোভাবেই স্থিতিশীল হচ্ছে না। যার কারণে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।

নতুন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ, যে কোনো উপায়ে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণ করা। মুদ্রাস্ফীতি মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হলে ন্যায্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

আই.কে.জে/

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

খবরটি শেয়ার করুন