ছবি : সংগৃহীত
কমবেশি সবারই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন দেখা দেয় ত্বকে। বয়স্ক ব্যক্তির ত্বক দেখলেই বোঝা যায় তার বয়স অনেক হয়েছে। কেননা তাদের ত্বক কুঁচকে যায়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে বয়স বাড়লে কেন ত্বক কুঁচকে যায়? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
সাধারণত বয়স বাড়তে শুরু করলে দুই ধরনের পরিবর্তন হয়। ত্বকের ভেতরে এবং ত্বকের বাইরে। আমাদের ত্বকের অভ্যন্তরে তিন ধরনের উপাদান থাকে। এর মধ্যে একটি হলো কোলাজেন। এটি ত্বকের বাঁধন ধরে রাখে।
ত্বকের অভ্যন্তরে থাকা দ্বিতীয় উপাদানটি হলো ইলাস্টিন। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। পাশাপাশি ত্বককে টানটান রাখে।
তৃতীয় উপাদানটি হলো গ্লাইকাস অ্যামিনো গ্লাইকান বা জিএজি। এই উপাদানটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন : ডিমের সঙ্গে খাওয়া ঠিক নয় যেসব খাবার
বয়স ২০-এর কোঠা পার হলে ধীরে ধীরে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন কমতে শুরু করে। বছরপ্রতি এটি ১ শতাংশ করে এটি কমে যায়। ফলে ত্বকের পুরুত্ব কমতে শুরু করে। ত্বক ধীরে ধীরে পাতলা হয়। ত্বকের বাঁধুনিও কমে যেতে থাকে।
অন্যদিকে, ২০ বছর বয়সের পর থেকে ত্বকের ঘর্মগ্রন্থির কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে। ইলাস্টিন ও জিএজি এর উৎপাদনও কমতে শুরু করে।
এই তিন উপাদানের উৎপাদন কমার কারণেই ত্বকে বার্ধক্য আসতে শুরু করে। এটি আসলে ত্বকের ভেতরকার ভাঙন। বাইরে থেকেও ত্বক প্রভাবিত হয়।
সূর্যের ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মি ত্বকের ওপরের স্তরের ক্ষতি করে। ফলে ত্বকে বলিরেখাসহ বার্ধক্যের অন্য লক্ষণগুলো ফুটে উঠতে শুরু করে।
সব মিলিয়ে বলা যায় ত্বকের ভেতর আর বাইরের ক্ষয়ের কারণেই বয়স বাড়লে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ত্বকের পরিচর্যা ঠিকমতো করলে এর গতি ধীর হয়।
এস/এসি
খবরটি শেয়ার করুন