বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবন্দিদের স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতে সরকারকে আমেরিকার আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২৪ অপরাহ্ন, ৩১শে জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে এমন প্রমাণ খুঁজে পাইনি। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করা বিভিন্ন বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০শে জানুয়ারি) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। 

ম্যাথু মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে আটক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। গত ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য সরকার বিরোধী দল বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ২৫ হাজার বিরোধী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্বাচনের আগে দেওয়া ভিসা নীতির পরিপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করায় সরকারের বিরুদ্ধে আমেরিকার পদক্ষেপ কী? 

ম্যাথু মিলার বলেন, আপনারা আমাকে আগেও বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগে প্রকাশ করতে দেখেছেন। আমরা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে এমন প্রমাণ খুঁজে পাইনি। সেই নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যের গ্রেপ্তার নিয়েও আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।

ম্যাথু মিলার বলেন, আমি দুটি জিনিস বলব। প্রথমত গ্রেপ্তারকৃত সবার জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই এবং বিষয়টি এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাব।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের

অপর এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে মিলে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে এমনটাই বলা হয়েছে কানাডার এক তদন্তে। ওই তদন্তে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টিও উঠে এসেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের প্রতি ভারত সমর্থন দিয়েছিল। সমালোচকদের দাবি, ভারতীয় প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে আমেরিকার গণতন্ত্র উন্নয়নের প্রক্রিয়া পিছিয়ে পড়ছে। এ নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? 

ম্যাথু মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এটা কানাডার বিষয়। আমি বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, বাংলাদেশসহ অন্য সব দেশের জন্যই শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গণতন্ত্র জরুরি। এটি (গণতন্ত্র) আমেরিকার বৈদেশিক নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এবং আমরা গণতান্ত্রিক নীতিগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশি সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছি। এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশিদের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতের মূলমন্ত্র।

এসকে/ 

আমেরিকা ম্যাথু মিলার জাতীয় সংসদ নির্বাচন

খবরটি শেয়ার করুন