শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪৬ অপরাহ্ন, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১২ই ডিসেম্বর) গভীর রাতে অর্থমন্ত্রীর বরাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। বার্তায় তিনি জানান, আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি আজ আইএমএফের বোর্ড  মিটিংয়ে অনুমোদন হয়েছে। 

এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বহুল আলোচিত মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (৪৭০ কোটি ডলার) ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। সেবার অনুমোদনের তিন দিনের মধ্যে ছাড় হয় ওই অর্থ।

দ্বিতীয় কিস্তির এ ঋণ অনুমোদন করার আগে সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশে সংস্কারের পদক্ষেপগুলো পরিদর্শন করে যায় আইএমএফের প্রতিনিধি দল। এরপর তাদের মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আইএমএফের পর্ষদে তা অনুমোদন পেল।

বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ চায়। বহুল প্রত্যাশিত ঋণের প্রস্তাব গত ৩১ জানুয়ারি অনুমোদন করে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি।

দ্বিতীয় কিস্তির এ অর্থ অনুমোদনের আগে প্রথম কিস্তিতে দেওয়া ঋণের শর্তের কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তা দেখতে অক্টোবরে এসেছিল সংস্থাটির রিভিউ মিশন। কিছু শর্ত অপূর্ণ থাকার কথা তখন তাদের জানিয়েছিল বাংলাদেশ। কারণও তুলে ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণের।

ওই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে করা আর্থিক খাতের রিফর্ম অ্যাগ্রিমেন্ট (সংস্কার) বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখেছিল সংস্থাটি। ছয়টি শতের্র মধ্যে দুটিতে পিছিয়ে থাকার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। জুন পর্যন্ত রিজার্ভের স্থিতি কাঙিক্ষত মাত্রায় ধরে রাখতে না পারা এবং জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় করতে না পারার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছিল।

আরো পড়ুন: আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির সিদ্ধান্ত আজ

জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী স্থিতিশীল সরকার এলে সংস্কারের বাকি পদক্ষেপও বাস্তবায়ন করা হবে-এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুরোধ করা হয়েছিল।

সন্তোষজনক অগ্রগতিতে ওই সময়ে আসা রিভিউ মিশন সফরের শেষ দিনে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিল। তখন একে ‘স্টাফ লেবেল অ্যাগ্রিমেন্ট’ বলে বিবৃতি দিয়েছিল আইএমএফ। এরই পরবর্তী ধাপে এল বোর্ডের অনুমোদন।

চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরো চার কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। এ অর্থ রিজার্ভের ওপর চাপ কমিয়ে বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি দূর করতে ভূমিকা রাখবে যা অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে কাজে দেবে বলে আশা নীতি নির্ধারকসহ অর্থনীতিবিদদের।

এসকে/ 

আইএমএফ ঋণ দ্বিতীয় কিস্তি

খবরটি শেয়ার করুন