চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত
মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে আসেন পরীমনি। এর ঘন্টা দুয়েক পর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পরীমনি বলেন, ‘ঐদিন নাসির আমাকে অনেক গালাগালি করে। এরপর বলে তোকে গালাগালি করে কি হবে বলে আমার গায়ে হাত দেওয়া শুরু করে। আমি বাধা দিতে চেষ্টা করি কিন্তু চেয়ার বেঁধে পড়ে যায়। সে আমার গলা টিপে ধরে ও বাজেভাবে আমাকে টাচ করে। ওয়েটার দূরে আছে কিন্তু তাকে গলা ধরে বের করে দেওয়া হয়। এরপর নাসির উদ্দিন লাইট বন্ধ করে দিতে বলে এবং বলে সবাই বের হয়ে যাও। লাইট অফ করে দাও।’
পরীমনি আরো বলেন, ‘এরপর সমস্ত লাইট অফ হয়ে যায় শুধু টিভির মনিটরের সামান্য আলো ছিল। সে আমাকে অনেক জোরাজুরি করে। জিমি ও আমার চিৎকার চেঁচামেচিতে লাইট ফ্যান আবার চালু হয় ও লোকজন ফিরে আসে।
কি ধরনের জোরাজুরি করতেছিল তার আইনজীবীর এমন প্রশ্নের জবাবে পরিমনি বলেন যে, তখন নাসির জোর করে আমার টি-শার্ট খোলার চেষ্টা করতেছিল।
এ সময় আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরীমনি। তার মুখে কথা বের হচ্ছিল না। তাকে বারবার ওড়না দিয়ে চোখ মুছতে দেখা গেছে। তাকে জোরে জোরে শ্বাস নিতে দেখা গেছে।
এ সময় আদালত বলেন, ‘পরীমনি আরো কিছু বলতে চান কিন্তু লোকজন দেখে হয়তো বলতে পারছেন না। আদালত তাকে বলেন, আপনি যদি চান তবে আপনার বিচার ক্যামেরা ট্রায়াল হতে পারে অথবা সবাইকে বের করে দিয়ে এ আদালতেও হতে পারে। আইনজীবীরা মৌখিকভাবে ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করলে আদালত বলেন, আপনারা লিখিত দেন। পরবর্তী বিচার হবে ক্যামেরা ট্রায়ালে।’
পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ওআ/ আইকেজে
খবরটি শেয়ার করুন