বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানি শুরুর পর দ্রুত কমছে ডিমের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৮ অপরাহ্ন, ৯ই নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারত থেকে আমদানিকৃত ডিম দেশে আসার পর গত তিন দিনে ডজনে ১৫ থেকে ২৫ টাকা কমেছে ডিমের দাম। এখন কোনো কোনো বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম সরকার নির্ধারিত ১৪৪ টাকারও নিচে নেমেছে।

রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, খিলগাও ও তেজগাঁও এলাকায় ডিমের বাজার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আমাদানির খবরে দ্রুত কমছে ডিমের দাম। তবে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন চাহিদার তুলনায় আমদানির পরিমাণ কম হওয়ায় বাজারে পড়ার কথা নয়।

মালিবাগ রেলগেট বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। অথচ গত রোববারেও ঢাকায় প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এ দাম আরও কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে। মুরগির সাদা রঙের ডিমের ডজন ইতোমধ্যে কমবেশি ১৩০ টাকায় নেমে এসেছে।

তেজগাঁও ডিমের আড়তের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০০টি সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। পাইকারিতে এই দামে সাদা ডিম বিক্রি হলে ডজনপ্রতি দাম দাড়ায় ১০৮ টাকা। খুচরা বাজারে আরেকটু বেশিতে বিক্রি হলেও এখনকার তুলনায় ডিমের দাম আরও কমবে।

শান্তিনগরের ডিম বিক্রেতা সাফিত বলেন, পাইকারিতে ১০০টি বাদামি ডিম এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতে খুচরা বাজারেও দাম বেশ কমে এসেছে। আর দাম কমায় বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সরকার প্রতিটি ডিমের খুচরা মূল্য ১২ টাকায় বেঁধে দেওয়ার পরও দাম কখনোই এতটা কমেনি। বাজারে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে।

তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমে এসেছে। আমদানির যে ডিম এসেছে, তা সমুদ্রের মধ্যে এক ফোঁটা পানি। এতে বাজারে প্রভাব পড়ার কথা না। এখন খামার থেকে ডিম আসছে কম দামে। তাতেই দাম নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ এগ প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, হুট করে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো যায় না। শীতে এলে মুরগির নানা রোগবালাই হয়। তাতে মুরগির ডিম পাড়া ব্যাহত হয়। তবে, দাম হুট করে নেমে আসায় এটা মানতে হবে আমদানির খবরে ডিমের দামে প্রভাব পড়েছে। বাজারে এমন প্রতিযোগিতা থাকলে পণ্যের দাম কম থাকবে। এতে ভোক্তারা স্বস্তি পাবেন।

ওআ/

ডিম

খবরটি শেয়ার করুন