সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরো বেশি রোহিঙ্গা নেবে আমেরিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:১৩ অপরাহ্ন, ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকার  স্টেট ডিপার্টমেন্ট। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরাম-২০২৩-এ দেয়া এই প্রতিশ্রুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড স্টেটস রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের আওতায় ২০২৪ সালেও আমেরিকা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে আরো বেশি পরিমাণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমেরিকা নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষের দেশগুলোকেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে উৎসাহিত করবে। বিবৃতি অনুসারে, আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ঘোষণায় আরো বলা হয়েছে, দেশটির ইউএস ওয়েলকাম কর্পস অ্যাট ওয়ার্ক লেবার মোবিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আমেরিকায় কর্মসংস্থান নিশ্চিতের দিকে মনোনিবেশ করবে অঙ্গরাজ্যগুলো। স্বাগতিক দেশে রোহিঙ্গারা যাতে সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, সেই লক্ষ্যে তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যাতে তারা নির্দিষ্ট কোনো একটি দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

এর বাইরে যেসব দেশে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে, সেসব দেশকে আরও সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও দেশগুলোর সরকারের কার্যকরী সম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজ করবে দেশটি। পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে আমেরিকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডমূলক সহায়তার অভ্যন্তরীণ সমন্বয় জোরদার করবে এবং তাদের স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার চাহিদা মোকাবিলায় অংশীদারদের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়েও পৃথক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

আরো পড়ুন: নির্বাচনে কোনো সহিংসতা দেখতে চায় না আমেরিকা : ম্যাথিউ মিলার

বিবৃতি অনুসারে, কেবল বাংলাদেশ থেকেই নয়, বরং বিশ্বের যেসব দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে, সেই সব দেশ থেকেও তাদের শর্তসাপেক্ষে আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। আমেরিকাসহ বাংলাদেশ, কলম্বিয়া ও কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শরণার্থীদের স্বনির্ভর করে তুলতে সেল্ফ রেসিলিয়েন্স ইনিশিয়েটিভ (আরএসআই) পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

দেশটির কূটনৈতিক এবং আর্থিক সহায়তায় এসব দেশে ২০২৭ সালের মধ্যে অন্তত ২০ লাখ পরিবারের কাছে এই উদ্যোগ পৌঁছে দিতে বহুপক্ষীয় সরকারি, বেসরকারি, উন্নয়ন সংস্থা ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করবে।

এইচআ/ আই.কে.জে

আমেরিকা শরণার্থী রোহিঙ্গা আশ্রয়

খবরটি শেয়ার করুন