চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের নজিরবিহীন হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের সাত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের রকেট বৃষ্টির মাধ্যমে শুরু হওয়া এই হামলা এখন নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে এনেছে গাজায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে টানা গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে হামাসের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামাসও পাল্টা গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে।
এরইমধ্যে এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এ ইস্যুতে চীনের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায়। এ সময় তিনি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ও যাতে পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এ সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়। কোনো শান্তি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা চলতে পারে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে চীন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
চীনের এমস মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেল আবিব। বেইজিংয়ে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউভাল ওয়াকস বলেন, তারা চীন থেকে হামাসের এ হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দার আশা করেছিল। কেননা চীনকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে দেখে ইসরায়েল।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন