সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং

উজরা জেয়ার বাংলাদেশ সফর নিয়ে ম্যাথু মিলার যা বললেন

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০১:০১ অপরাহ্ন, ১৯শে জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কথা বলেছেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, উজরা জেয়া তার সফরে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন। 

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থে ‘অগ্রাধিকারভিত্তিক’ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে।

‘মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরের পর দেশটিতে অধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের ওপর হামলা অনেক বেড়ে গেছে— এ ব্যাপারে মুখপাত্রের মন্তব্য কী?’ এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, গত সপ্তাহে সফরে উজরা জেয়া ও অন্য কর্মকর্তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। উজরা জেয়া শ্রম অধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের নেতা ও মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রম অধিকারকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলেছেন। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উজরা জেয়া কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে মানবিক কার্যক্রমের অংশীদার ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রচেষ্টার সমর্থনে তিনি অতিরিক্ত ৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:সন্ধ্যায় ১৪ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বসছেন শেখ হাসিনা

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ককে মূল্যায়ন’ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়মিত বাংলাদেশ সফর থেকে ওয়াশিংটনের কাছে দেশটির গুরুত্ব বোঝা যায়। আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া তার সফরে বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি তিনি সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রম অধিকার কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির কথা বলেছেন। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব কারণেই তারা বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন। এগুলোই দুই দেশের স্বার্থের অগ্রাধিকারের বিষয় হওয়া উচিত বলে তারা বিশ্বাস করেন। এ জন্যই তারা এসব নিয়ে কথা বলেন।

এম/


উজরা জেয়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

খবরটি শেয়ার করুন