সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এআই নিয়ন্ত্রণে একমত আমেরিকাসহ ১৮ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১০ অপরাহ্ন, ২৮শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

সারাবিশ্বে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির প্রয়োগ দ্রুত বাড়ছে। এটি মানবজাতির ভবিষ্যতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞ এআই প্রযুক্তিকে মানুষের অস্তিত্বের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন। তাই বিভিন্ন দেশ এই প্রযুক্তির উন্নতির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাইছে। পাশাপাশি, এমন নিয়মকানুনের সন্ধান চলছে, যা এআইর উন্নতির পথে অন্তরায় হবে না, আবার বিপদের শঙ্কাও দূর করবে।

এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঐকমত্য অর্জনের চেষ্টা চলছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত রোববার (২৬শে নভেম্বর) আমেরিকা (ইউএসএ), ইউনাইটেড কিংডমসহ (ইউকে) মোট ১৮টি দেশ একটি আন্তর্জাতিক সমঝোতা চূড়ান্ত করেছে। এর আওতায় কোম্পানিগুলোকে এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার রুখতে শুরু থেকেই ‘সিকিউর বাই ডিজাইন’ বা সৃষ্টির স্তরেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। 

সেখানে এআই’র অপব্যবহার রুখতে নজরদারি, তথ্য সংরক্ষণের নিশ্চয়তা, সফটওয়্যার সরবরাহকারীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার মতো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২০ পৃষ্ঠার এই সমঝোতা অবশ্য কারো জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে এতগুলো দেশ যে তাতে সম্মতি দিয়েছে, সেই বার্তা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছে বাড়তি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা ও অবকাঠামো নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের প্রধান জেন ইস্টারলি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এই প্রথম এত বড় আকারে ঐকমত্য সম্ভব হয়েছে। ফলে এআই প্রযুক্তিতে শুধু নতুন গুণাগুণ যোগ করা এবং যত দ্রুত সম্ভব সেসব সস্তায় বাজারে এনে প্রতিযোগিতায় টেক্কা দেওয়ার পাশাপাশি এই নির্দেশিকায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে তবেই এমন প্রযুক্তি বাজারে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা এআই প্রযুক্তির নানা ধরনের অপব্যবহারের আশঙ্কা তুলে ধরেছেন। তাদের মতে, হ্যাকারদের হাতে এমন প্রযুক্তি ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গুরুতর বিঘ্ন ঘটানো সম্ভব। প্রতারণা, নাটকীয় মাত্রায় কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো অন্যান্য ঝুঁকিও রয়েছে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসকে/ 

আমেরিকা এআই ইউনাইটেড কিংডম

খবরটি শেয়ার করুন