শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাল থেকে দ্বিতীয় ‘বঙ্গোপসাগর সংলাপ’ শুরু হচ্ছে ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০২ অপরাহ্ন, ৬ই অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত দ্বিতীয় বঙ্গোপসাগর সংলাপ (বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন) ২০২৩ শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (৭অক্টোবর )। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এই সংলাপে বিশ্বের ৭৫টি দেশের রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আমলা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতিসহ নানা বিষয় এই সংলাপে আলোচিত হবে।

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কাল থেকে অনুষ্ঠেয় এই সংলাপের বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘রাইজিং টাইডস ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যে কাল সকাল সাড়ে নয়টায় সংলাপের উদ্বোধন হবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সংলাপ চলবে। 

দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের প্রতিনিধি এই সংলাপে অংশ নিচ্ছেন। এবারের সংলাপে অন্তত ৫০টি সেশন থাকছে। সংলাপ আয়োজনে সিজিএসের সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইউএসএআইডি, ইউকেএআইডি, ইউএনডিপি বাংলাদেশ, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন, ঢাকার অস্ট্রেলীয় ও জার্মান দূতাবাস।

জিল্লুর রহমান বলেন, দেশ-বিদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবীরা এবারের সংলাপে অংশ নেবেন। সংলাপে জটিল ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলোর ধারণা, সমাধানের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা আলোচিত হবে। আরও সংহত, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিনির্মাণে করণীয় নিয়ে সংলাপে আলোচনা হবে।

গত বছর প্রথমবারের মতো এই সংলাপ আয়োজন করা হয়েছিল। জিল্লুর রহমান বলেন, গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে এবার দেশের কোনো পক্ষের রাজনীতিবিদকেই এই সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে থাকবেন। সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে শুধু পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বক্তা হিসেবে থাকছেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, সংলাপে ভূরাজনীতি, ভূ-অর্থনীতিকেন্দ্রিক আলোচনা হবে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি ‘প্লেয়ারের’ ভূমিকায় বাংলাদেশের অবতীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ শুধু দর্শকের সারিতে থাকুক, সেটা তাঁরা চান না। সেই জায়গা থেকে সংলাপের প্রতিটি সেশনে অন্তত একজন বাংলাদেশি বক্তা রাখা হয়েছে।

গত বছরের সংলাপে চীনের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। কিন্তু এবার অন্তত তিনজন চীনা শিক্ষাবিদ সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিজিএসের গবেষণা সহযোগী শ্রাবণী আক্তারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একে/


ঢাকা বঙ্গোপসাগর সংলাপ সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ

খবরটি শেয়ার করুন