শুক্রবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমজমের পানির যত বরকত

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩১ অপরাহ্ন, ২৬শে জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

জমজম আল্লাহর অপার কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন। জান্নাতি ঝরনাধারাসমূহের একটি। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফসল। 

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম পানি। হাজার হাজার বছর ধরে কোটি কোটি হাজীর তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের পিপাসা মিটিয়ে আসছে। পবিত্র কাবা থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে অবস্থিত ৩০ মিটার গভীরের এ কূপের পানির ফজিলত অনেক। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের শ্রেষ্ঠ পানি জমজম। এতে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য ও রোগ থেকে মুক্তি।’ (আলমুজামুল কাবির : ১১১৬৭; মাজমাউয যাওয়ায়েদ : ৫৭১২)। আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘যে উদ্দেশ্যে জমজম পান করা হবে তা পূরণ হবে। যদি তুমি রোগমুক্তির জন্য তা পান কর আল্লাহ তোমাকে সুস্থ করে দেবেন।’ (মুসতাদরাকে হাকেম : ১৭৩৯)

যুগে যুগে অসংখ্য আল্লাহর বান্দা শুধু জমজমের পানি পান করেই দিনের পর দিন কাটিয়েছেন। কারণ এতে রয়েছে খাদ্যশক্তি। ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, আমি এমন মানুষও দেখেছি, যিনি অর্ধ মাস কিংবা তারও বেশি সময় শুধু জমজমের পানি পান করেই কাটিয়েছেন। কখনও ক্ষুধা অনুভব করেননি। অন্যান্যদের সঙ্গে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাওয়াফ করতেন। তিনি আমায় বলেছেন, একবার তো শুধু জমজমের পানি পান করেই চল্লিশ দিন কাটিয়েছেন। 

হজরত আবু জর গিফারি (রা.) ইসলাম গ্রহণ করে যখন মক্কায় এসেছিলেন, তখন তিনি শুধু জমজমের পানি পান করে ৩০ দিন কাটিয়েছিলেন। (যাদুল মায়াদ : ৪/৩৯৩)। 

রাসুল (সা.) রোগীদের ওপর জমজমের পানি ছিটাতেন এবং তাদের তা পান করতে দিতেন। রোগমুক্তির জন্য জমজম পান করার অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের (রহ.) ছেলে নিজ বাবার ব্যাপারে বলেন, আমি বাবাকে রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য জমজমের পানি পান করতে দেখেছি। সেই সঙ্গে তিনি পানি দিয়ে হাত ও মুখ মাসাহ করতেন। (সিয়ারু আলামিন নুবালা : ১১/২১২)। ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, আমি জমজমের পানি ব্যবহার করে অনেক রোগ থেকে মুক্ত হয়েছি।’ (যাদুল মায়াদ : ৪/৩৯৩)

জমজমের পানি যে যে উদ্দেশ্যে পান করবে আল্লাহ তার সে নিয়ত পূরণ করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’ (ইবনে মাজা : ৩০৬২)। এ কারণে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন, বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও আল্লাহভীরু মুমিনগণ জমজমের পানি পানের সময় বিভিন্ন নিয়ত করতেন, যা পূরণ হওয়ার অসংখ্য ঘটনা ইতিহাসের পাতায় বিদ্যমান। হজরত ওমর (রা.) হাশরের ময়দানে পিপাসিত না হওয়ার নিয়তে জমজমের পানি পান করতেন। আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) বলেন, হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জমজমের পানি পান করেছিলাম স্মৃতিশক্তিতে হাফিজ শামসুদ্দিন জাহাবি (রহ.)-এর স্তরে পৌঁছার নিয়তে। সুয়ুতি বলেন, ইবনে হাজার ওই স্তরে পৌঁছেছিলেন; বরং তার স্মৃতিশক্তি আরও অধিক প্রখর হয়েছিল। (তাবাকাতুল হুফফাজ : ১/৫২২)

ওআ/


ধর্ম জমজম পানি

খবরটি শেয়ার করুন