ছবি: সংগৃহীত
বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশটির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান হলেন তিনি।
১০-১২ ডিসেম্বর মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ১৮ই ডিসেম্বর (সোমবার) তার ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলাফল বিশ্লেষণে জানা গেছে, ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ৬৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এবং রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির নেতা হাজেম ওমর পেয়েছেন ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।
আরো পড়ুন: বিচার শুরু হলো মিডিয়া মুঘল জিমি লাইয়ের
বাকি ভোটগুলো পেয়েছেন নির্বাচনের অপর দুই প্রার্থী। এরা হলেন ইজিপশিয়ান সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ফরিদ জাহরান এবং মিসরের শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল ওয়াফড’র নেতা আবদেল-সানাদ ইয়ামামা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ৬৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ২০১৭ সালের নিবাচনে এই হার ছিল ৪১ শতাংশ এবং ২০১১ সালে ছিল ৪৭ শতাংশ।
গত দু’বারের তুলনায় এবারের দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি খানিকটা ভিন্ন। কারণ করোনা মহামারির পর থেকে মিসরে মূল্যস্ফীতি শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির বার্ষিক মূল্যস্ফীতি এখন ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশে।
ফলে খাদ্যপণ্যসহ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুর দাম বাড়ছে দেশটিতে এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে সীমিত আয়ের লোকজনদের ভোগান্তিও। অবশ্য বর্তমান মূল্যস্ফীতি সংকট শুরু হওয়ার আগেও যে অবস্থা খুব ভালো ছিলো— এমন নয়। মিসরের মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন।
মিসরের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৬ বছর। এর আগে ২০১৭ এবং ২০১১ সালের নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন মিসরের সাবেক সেনাপ্রধান এবং অবসরপ্রাপ্ত ফিল্ড মার্শাল আল-সিসি।
সূত্র : এএফপি
এইচআ/ আই. কে. জে/