শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে সপ্তমবারের মতো বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৩২ অপরাহ্ন, ২৬শে আগস্ট ২০২৩

#

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ

বঙ্গবন্ধুকে না বলা হাজারো কথা, আক্ষেপ, স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষার গল্প বর্তমান প্রজন্মের কাছ থেকে শুনতে সপ্তমবারের মতো ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখার প্রতিযোগিতা ২০২৩-এর সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাংস্কৃতিক সংসদ।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ‘বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা ২০২৩’-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর. সি. মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের আয়োজনে সারাদেশ থেকে মোট ৬৮৩টি চিঠি জমা হয় । এর মধ্যে জুনিয়র গ্রুপ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন নিশাত জাহান লাবণ্য, মো কাওছার আহমেদ, রণিত অধিকারী, আবদুল্লাহ আল নোমান অ মালিহা ফাহমিদা লাবিবা। সিনিয়র গ্রুপ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন মহিমা গাজী অর্ণা, সাবিহা সুলতানা পুষ্পা, হৈমন্তি দাশ এশা, মেহের আফরোজ জাহান ও সামিউজ্জামান সামিন। 

উদ্বোধকের বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, নানাভাবে কালো শক্তি ঢুকে পড়ছে আমাদের আশেপাশে, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চলছে এখন।

হারুন হাবীব তরুণ প্রজন্মের উদ্যমী অংশগ্রহণকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, যে ১৯৭১-এর সংস্কৃতি নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, সেই সংস্কৃতিকে আঘাত করছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। তাই আমাদের সাংস্কৃতিক জাগরণ প্রয়োজন।

১৫ই আগস্টের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, অনেক হতাশার মধ্যে যে কয়কটি বিষয় নিয়ে আশা রাখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার মধ্যে অন্যতম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখতে বসলে চোখের জলে, হৃদয়ের রক্তক্ষরণে সে চিঠি শেষ হবে না। আমি চাই, কোনদিন আর বাংলাদেশ পিতৃহত্যাকারীকে হটস্পটে দেখবে না। অসাম্প্রদায়িক, দরিদ্রবান্ধব, সমাজতান্ত্রিক একটি দেশ অটুট থাকুক যেখানে সবকিছুর মূলে থাকবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

সভাপ্রধানের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে আছি। যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা চলে যাবে না। এখন আমরা সচেতন না হলে আবার পঁচাত্তর-পরবর্তী অন্ধকার সময়ে চলে যাবো। বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর কাছে কী চায় তা জানার। 

ডিইউসিএস-এর সভাপতি জয়ন্ত ভৌমিক বলেন, আমরা চাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও সৃজনশীল চর্চা হোক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে পড়ুক। আমাদের আশা এই আয়োজন আরও বড়ো পরিসরে আয়োজিত হোক। দেশের সকল মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করুক, আমাদের ভাবনা, সংস্কৃতি ও সকল চর্চায় বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকুক হাজার বছর।  

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অনিক ধর বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করি। আমরা বিশ্বাস করি, যেখানে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা হয়, সেখানে ধর্মান্ধতা বাসা বাঁধতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমাদের এই সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টা ছড়িয়ে যাবে প্রজন্মান্তরে। 

এসকে/



বঙ্গবন্ধুকে চিঠি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ

খবরটি শেয়ার করুন