ছবি : সংগৃহীত
কোনো রাজনীতিক ফৌজদারি মামলায় শাস্তি পেলে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এতদিন এইটিই ছিল পাকিস্তানের আইন। কিন্তু এখন আর সেই নিয়ম থাকছে না। কারণ আইনটি বাতিল করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার (৮ই জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে নওয়াজ শরিফের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকল না। ২০১৭ সালে নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার পরের বছর আইন করে ফৌজদারি অপরাধে শাস্তি প্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ রুদ্ধ করা হয়। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তার রায়ে বলেছেন, আগের আইনের কারণে একজন নাগরিকের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল।
আরো পড়ুন: এবার আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন পাকিস্তানের
নওয়াজ শরিফের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল। ইমরানের বিরুদ্ধেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এই রায়ের প্রভাব ইমরানের মামলার ওপর পড়ার সম্ভাবনা নেই কারণ, সুপ্রিম কোর্ট এই রায় কেবল নির্বাচনে সারা জীবনের নিষেধাজ্ঞা পাওয়াদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এদিকে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) নির্বাহী বোর্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বন্ধ করার অনুমোদন দিয়েছে।
ইমরানের দল পিটিআই শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে আমেরিকা এবং সেনাবাহিনীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে কাকারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তাই তারা মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের রায়টিও তারই অংশ।
সূত্র: দ্যা ডন