শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্যালেস্টাইন সংহতি দিবসে ঢাবিতে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ পালন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৩১ অপরাহ্ন, ২৯শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবসে প্যালেস্টাইনের প্রতি সমর্থনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ পালন করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (২৯শে নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর- ফুলার রোড দিয়ে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। কর্মসূচিতে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিশাল পতাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক সেগমেন্ট ও র‍্যালির আয়োজন করেন। মার্চ ফর প্যালেস্টাইনের আজকের এ পতাকাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্যালেস্টাইনের পক্ষে সবচেয়ে বড় পতাকা বলে অভিহিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় - ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা; ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রী; ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ; জায়োনবাদ নিপাত যাক, প্যালেস্টাইন মুক্তি পাক; প্যালেস্টাইনের বীর সেনারা, লও লও লও সালাম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, লও লও লও সালাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

মার্চ ফর প্যালেস্টাইনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়েন উদ্দিন তন্ময় ‘ইন্তিফাদা’ কবিতা আবৃত্তি করেন। কবি হাসান রুবায়েত লাব্বাইক ‘লাব্বাইক আল-আকসা’ কবিতা পাঠ করেন। সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী অরূপ রাহি ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। 

বাংলাদেশে অধ্যয়নরত প্যালেস্টাইন একজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্যালেস্টাইনের পক্ষে তার ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা বিগত ৭৫ বছর ধরে নির্মম দখলদারিত্বের শিকার। আমরা প্রতিনিয়ত ভূমি, প্রাণ ও মর্যাদা হারাচ্ছি। গত দুই মাস ধরে আপনারা এর নজির দেখেছেন। আমরা অধিকার, মর্যাদাসহ স্বাধীনভাবে আমাদের ভূমিতে বসবাস করতে চাই। আমরা নিপীড়ন ও নির্মম দখলদারিত্বের অবসান চাই এবং এটা অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। আমি এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি, এ আয়োজন আমার জন্য আনন্দের। যারা নির্মমভাবে নিহত শিশু ও নারীদের প্রতি প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ, মা-বোনেরা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। একজন মুসলিম হিসেবে তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। বাংলাদেশ সরকারও স্বাধীনতালগ্ন থেকেই প্যালেস্টাইনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসছে। আমরা প্যালেস্টাইনিদের এ নির্যাতন অত্যাচারের চিরস্থায়ী সমাধান চাই। আজ আমরা সেই সংহতি জানানোর জন্যই এখানে একত্রিত হয়েছি।

প্রসঙ্গত, আজ প্যালেস্টাইনিদের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২৯ নভেম্বরকে প্যালেস্টাইন জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে ‘আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি দিবস’ হিসেবে গ্রহণ করে। এর ঠিক ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর ‘ইউনাইটেড নেশনস পার্টিশন প্ল্যান ফর প্যালেস্টাইন’ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকেই মূলত এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।

এসকে/ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্যালেস্টাইন মার্চ ফর প্যালেস্টাইন

খবরটি শেয়ার করুন