সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভরা মৌসুমে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২৯শে আগস্ট ২০২৩

#

চা বাগান। ফাইল ছবি

মৌসুমের শুরুতে চায়ের উৎপাদন কম থাকলেও জুলাই মাসে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভরা মৌসুমে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চলতি বছরে চা উৎপাদনে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়কে চা উৎপাদনের ভরা মৌসুম ধরা হয়। এ সময়ে প্রতি মাসে এক কোটি কেজির বেশি চা উৎপাদিত হয়। এবার ভরা মৌসুমের শুরুতে জুন মাসে চা বাগান এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টি ছিল কম। তাপমাত্রাও ছিল বেশি। দুটিই চায়ের ফলনের জন্য ক্ষতিকর। এ রকম বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত জুন মাসে চায়ের উৎপাদন কমে এক কোটি কেজিতে নেমে আসে। গত বছরের একই মাসে উৎপাদিত হয়েছিল ১ কোটি ২৫ লাখ কেজি।

তবে জুলাইয়ে উৎপাদন বেড়েছে অন্য সময়ের তুলনায় বেশি। এই মাসে চা উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ কেজি, যা গত বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। মূলত এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের কারণেই প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে চায়ের উৎপাদন। চা বোর্ড এ বছর ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, “চা–বাগানে নিয়মিত নতুন চারা লাগানো, সংস্কার কার্যক্রমসহ যে বিনিয়োগ হচ্ছে, তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে এখন। তবে মৌসুমের শুরুতে খরার কারণে চায়ের ফলন কমে যায়। আবার জুলাই মাসে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন বেড়েছে। মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনে রেকর্ড হতে পারে।”

এব্যাপারে বাংলাদেশ চা বোর্ডের সাবেক উপপরিচালক মুনির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, খরার পর বৃষ্টি হলে চায়ের উৎপাদন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এবার জুলাই মাসে রেকর্ড উৎপাদন হওয়াটা তারই প্রতিফলন। জুলাই মাসের মতো উৎপাদন অব্যাহত থাকলে বছর শেষে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের মাইলফলক অতিক্রম করা সম্ভব হবে। মুনির আহমেদ বর্তমানে একটি চা বাগানের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে চায়ের উৎপাদন বাড়লেও নিলামে দাম কমে যাওয়া নিয়ে হতাশ বাগান মালিকেরা। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত নিলামের তথ্যে দেখা যায়, এ বছরের ১৭টি নিলামে চায়ের প্রতি কেজির গড় দাম পাওয়া গেছে ২০৫ টাকা ৩১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে দাম ছিল ১৯৯ টাকা ২২ পয়সা। 

এব্যাপারে বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাহ আলম বলেন, “চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়াটা ইতিবাচক। তবে নিলামে ভালো দাম না পেলে এই শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, এখন যে দাম পাওয়া যাচ্ছে, তাতে উৎপাদন খরচ উঠছে না। উৎপাদন খরচ না উঠলে চা বাগানে বিনিয়োগও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।”

উল্লেখ্য, চা বিপণনের নিয়মানুযায়ী, বাগান থেকে চা পাতা তুলে কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে দানাদার চা তৈরির পর তা নিলামে বিক্রি করতে হয়।

এম.এস.এইচ/ 

চা বাগান চা

খবরটি শেয়ার করুন