শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে টিসিবির ২০১ টন পেঁয়াজ আমদানি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:০০ অপরাহ্ন, ১লা অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহীত

উৎপাদন সংকটে ভারতের রপ্তানি মূল্যবৃদ্ধিতে এক প্রকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। তবে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সাতটি ট্রাকে এ পেঁয়াজ আসে।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ৩ হাজার ৮০০ টন মসুরের ডাল আর গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ৩ হাজার ২০০ টন মসুরের ডাল ও ৪ ডিসেম্বর ২ হাজার ২১১ টন পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবি।

জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৫৫ টাকা পড়লেও অর্ধেক মূল্যের বেশি ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ টিসিবি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি মূল্যে খোলাবাজারে অন্য পণ্যের সঙ্গে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করবে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে। দ্রুত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নানান প্রতিবন্ধকতায় পেঁয়াজ আমদানি কমায় দিন দিন পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তবে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে এবার দাম কমবে মনে করছেন বিক্রেতারা। গত বছর পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়েছিল ৪০ টাকার মধ্যে।

বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে কয়েক বছর ধরে দেশের ১ কোটি ১ লাখ পরিবারের কাছে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য বিক্রি করছে টিসিবি। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে আছে দুই কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল ও পাঁচ কেজি চাল।

আরো পড়ুন : বাসি-পচা মাংস পাওয়ায় মুঘল কাবাবকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

এসব নিত্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের জোগান দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। রোববার সাত ট্রাকে ২০১ টন পেঁয়াজ আসে বন্দরে।

এদিকে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে দেশীয় বাজারে দাম কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। এক সপ্তাহ আগে খোলাবাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।

এসকে/ 


ভারত পেঁয়াজ আমদানি টিসিবি বেনাপোল বন্দর

খবরটি শেয়ার করুন