বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ক্রিকেটে রাজনীতি চায় না এসিসি, এশিয়া কাপের ঘোষণা দেবে ভারত *** মাইলস্টোনে দগ্ধদের চিকিৎসায় চীনের চিকিৎসক দল আসছে রাতে *** মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: ডিএনএ পরীক্ষায় ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত *** ১৫ শতাংশের নিচে নামবে না শুল্ক, ঘোষণা ট্রাম্পের *** সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় বিএনপি *** আরও মামলায় গ্রেপ্তার ইনু-পলক-মমতাজ *** সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ড্রেস কোড’ প্রত্যাহার *** সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো আসছে, পে কমিশন গঠন *** স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক: উপদেষ্টা আসিফ *** গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারকে জানাতে হবে

সর্বজনীন পেনশন চালুর প্রথম দিনে ব্যাপক সাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৩ অপরাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৩

#

সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের মানুষকে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সরকারের সর্বজনীন এই কর্মসূচি চালুর প্রথম দিনই ভালো সাড়া মিলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রগতি, প্রবাস, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিমে ৭০০ জন নিবন্ধন করে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া আট হাজারের বেশি গ্রাহক নিবন্ধনের আবেদন পাঠিয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে প্রথম দিনে সার্ভারে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হওয়ায় অনেকে লগ-ইন করেও আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার গণবভন থেকে এ কর্মসূচির চারটি স্কিমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ‘প্রবাস’ স্কিমটি প্রবাসীদের জন্য। ‘প্রগতি’ স্কিম চালু করা হয়েছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য রয়েছে ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ স্কিমটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। ১৮ বছরের বেশি দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেবে বলে আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান বলেন, প্রথম দিন বেসরকারি খাতের চাকরিজীবী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকেই ইতোমধ্যে নিবন্ধন করার টাকা জমা দিয়ে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন করছেন। আবার অনেকে শুধু নিবন্ধন করে রেখেছেন। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে তারাও টাকা জমা দেবেন। জনগণের এ ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সরকারের এ মহতী উদ্যোগকে সামনে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি।  

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর। ভবিষ্যতে গড় আয়ু আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে জনমিতিক লভ্যাংশের আওতায় রয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ কর্মক্ষম। গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধিজনিত কারণে ভবিষ্যতে নির্ভরশীলতার হার বাড়বে। এ কারণে একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। 

অর্থ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, কোনো বৈদেশিক সাহায্য ও কারিগরি সহায়তা ছাড়াই এ ধরনের একটি বড় কাজ গুছিয়ে আনা হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকেই চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকে টাকা জমা শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে দেশ বিদেশের বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ভালো সাড়া পড়েছে।

পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন গ্রাহক। গ্রাহক মারা গেলে তাঁর নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের ৭৫ বছর বয়স হতে যত বছর বাকি থাকবে, সেই সময় পর্যন্ত নমিনি পেনশন তুলতে পারবেন। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও বিশেষ বিবেচনায় পেনশনভুক্ত হতে পারবেন। তবে আজীবন বা ন্যূনতম ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেনশন সুবিধা পেতে কমপক্ষে একাধারে ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যেসব প্রবাসীর বাংলাদেশের এনআইডি নেই, তারা বৈধ পাসপোর্টের ভিত্তিতে ব্যাংকিং চ্যানেল, অনুমোদিত মোবাইল আর্থিক পরিষেবা এবং এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দিয়ে কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন। 

আই.কে.জে/

সর্বজনীন পেনশন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন