সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুদানে গণতন্ত্র বিরোধীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৫ অপরাহ্ন, ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সুদানের এক রাজনীতিবিদ ও দুটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দুটি কোম্পানির একটি আবার রাশিয়া-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার সুদানের একজন ক্ষমতাচ্যুত রাজনীতিবিদ এবং দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে অস্থিতিশীলতা আরও তীব্র করা এবং গণতন্ত্রের বিরোধিতা করার অভিযোগ এনেছে ওয়াশিংটন।

ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদন বলছে, ইসলামপন্থী জঙ্গিদের জবাবদিহিতার জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষে এটাই সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা। সুদানের সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) ভেঙে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর গত এপ্রিল মাসে যুদ্ধ শুরু হয়। আরএসএফ ওমর আল-বশিরের অনুগত একটি আধাসামরিক সংগঠন। চার বছর আগে এক গণবিদ্রোহের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

বৃহস্পতিবারের ঘোষণায়, সুদানের এক সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী কারতিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক এই সুদানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুদানিজ ইসলামিক মুভমেন্টের সেক্রেটারি জেনারেলের পদে উন্নীত হন।

চরমপন্থি এই সংগঠনটি উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এছাড়া ওমর আল-বশিরের দলের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারতি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। আর ২০২১ সালে আরএসএফ সংশ্লিষ্ট সামরিক অভ্যুত্থানের পর কারতির ইসলামি দল তাদের কিছু ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।

আরো পড়ুন : কম্বোডিয়ায় নির্বাচন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দুই মাস পর তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন সুদানভিত্তিক জিএসকে অ্যাডভান্স কোম্পানি এবং রাশিয়ার অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাভিয়াট্রেড’র ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আরএসএফ-কে সামরিক ড্রোন ও প্রশিক্ষণ দিতে জিএসকেকে সাহায্য করছে অ্যাভিয়াট্রেড।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাসবাদ এবং আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্যক্তিগত লাভের জন্য যারা সুদানের চলমান এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ অব্যাহত রাখব।

এসকে/

যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র নিষেধাজ্ঞা সুদান

খবরটি শেয়ার করুন