ছবি: সংগৃহীত
সুপারসনিক (শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্রের তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন অধ্যায় শুরু হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই বুধবার (৯ আগস্ট) ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইরান সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করেছে। বর্তমানে এসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরীক্ষা চলছে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের সামরিক শক্তি নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশের সূচনা ঘটছে।’
তবে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরীক্ষা কবে শেষ হবে ও কবে তা দেখা যাবে, এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
ইরানের বেশ কয়েক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আছে। তবে দেশটির কোনো ক্ষেপণাস্ত্রই শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে (শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৪৩ মিটার) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম নয়।
যেসব ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও পাঁচ গুণ গতি নিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, সেগুলো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। গত জুন মাসে ইরান তাদের প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জনসম্মুখে এনে জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্র রাডার এবং আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমা নিয়ে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গত সোমবার মার্কিন নৌবাহিনী লোহিত সাগরে দুটি যুদ্ধজাহাজে করে তিন হাজারের বেশি সেনাসদস্য পাঠিয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে জাহাজ আটকের অভিযোগ থাকায় এই সেনাদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন