বুধবার, ২৬শে জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হৃদয়ের সুস্থতায় তিন ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০৮ অপরাহ্ন, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগ্রিহিত

হার্ট মানুষসহ যে কোনো প্রাণী দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সুস্থ, সুন্দর ও সাবলীল জীবনযাপনের জন্য সুস্থ হার্টের বিকল্প নেই। অথচ হার্টের যত্নের ব্যাপারেই আমরা থাকি উদাসীন। হার্ট এক ধরনের পেশি। আর যে কোনো পেশিই ব্যায়ামের মাধ্যমে সক্রিয় ও সুস্থ রাখা সম্ভব। কিন্তু ব্যায়ামের জন্য কাউকে দক্ষ ক্রীড়াবিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই। খুব সহজেই তা করা যায়। সেটি হতে পারে প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট সময় ধরে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা ব্যায়াম করেন না তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সক্রিয় লোকদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

কীভাবে ব্যায়াম শুরু করবেন

প্রথমেই ঠিক করতে হবে আপনি কি নিজেই বাড়িতে শরীরচর্চা করবেন নাকি কোনো জিমনেসিয়ামে ট্রেইনারের সংস্পর্শে থেকে শুরু করবেন। আপনি যদি দৌড়াতে চান, তাহলে শুরুটা করুন হাঁটা দিয়ে এবং তারপরে হাঁটার মধ্যে জগিং দিয়ে নিয়মিত চর্চা করা শুরু করুন। আস্তে আস্তে দৌড়ানো শুরু করুন। তবে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে চেক ইন করতে ভুলবেন না।

আরো পড়ুন : যে সব রোগ থাকলে টমেটো না খাওয়াই ভালো

ব্যায়ামের প্রকারভেদ

হার্ট ভালো রাখতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম যুক্ত করে নিতে পারেন দৈনন্দিন জীবনের তালিকায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এমন কিছু ব্যায়ামের বিষয় তুলে ধরা হলো—

অ্যারোবিক ব্যায়াম (কার্ডিও)

দৌড়ানো, জগিং ও সাইকেল চালানো অ্যারোবিক ব্যায়ামের কিছু উদাহরণ। হৃদস্পন্দন বাড়াতে ও শ্বাস গ্রহণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে ব্যায়ামগুলো এতটা গতিতে করা উচিত ঠিক যতটা গতিতে আপনি দৌড়াতে দৌড়াতে খুব স্বাভাবিকভাবে কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলা চালিয়ে যেতে পারবেন।

স্ট্রেচিং

সপ্তাহে কয়েকবার নিয়ম মেনে স্ট্রেচিং করলে তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ওয়ার্মআপ বা ব্যায়াম শেষ করার পরে স্ট্রেচিং করা উচিত খুব ধীরগতিতে।

স্ট্রেংথ ট্রেনিং

স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের জন্য ওজন, রেসিস্টেন্স ব্যান্ড বা নিজের শরীর (উদাহরণস্বরূপ যোগব্যায়াম) ব্যবহার করা যেতে পারে।

কত সময় কয়বার

সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি থেকে তীব্র মাপের ব্যায়াম স্বাস্থ্যসম্মত। সপ্তাহে অন্তত ৫দিন প্রতিদিন প্রায় ৩০মিনিট করাই যথেষ্ট। ব্যায়ামের অভ্যাস যদি একদম নতুন হয় তবে ধীরে ধীরে সময় ও গতি বাড়ানো ভালো। ধীরে ধীরে করলে শরীরের সঙ্গে মানিয়ে যাবে খুব সহজেই সুন্দরভাবে। ব্যায়ামের শুরু এবং শেষের কয়েক মিনিট গতি কম রাখা উচিত।

এস/ আই.কে.জে/

ব্যায়াম হৃদয়ের সুস্থতা

খবরটি শেয়ার করুন