সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৬ বছরে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বিরাট অর্থনৈতিক ব্যবধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০০ অপরাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবিঃ সংগৃহীত

গত ১৬ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশাল পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। যদিও বিনিয়োগকারীরা ভেবেছিলেন, চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ব্যাপকভাবে হ্রাসের পর মুদ্রানীতিকে আরো সহজতর করবে।

তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমিয়েছে পিপলস ব্যাংক অফ চায়না (পিবিওসি)। অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় রয়েছে ব্যাংকটি। এমতাবস্থায় মুদ্রানীতি আরো সহজ হবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।

বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র চীনই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মুদ্রানীতি শিথিল করেছে। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় কঠোর নীতি বজায় রেখেছিল।

বিশ্বের দুইটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে আর্থিক নীতির এ পার্থক্য দুই দেশের আর্থিক মূল্যমানের ক্ষেত্রেও পার্থক্যের সৃষ্টি করেছে। দুই দেশের মধ্যকার আর্থিক ব্যবধান এখন ১৬৪ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে, যা ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ।

সাম্প্রতিক সময়ে চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা হতাশাজনক। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা এর সম্পূর্ণ বিপরীত।

জুলাই মাসে চীনের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হোল্ডিং এর হ্রাস ঘটেছে। একিমাসে ক্রেডিট বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিতে অর্থনৈতিক মন্দাকে আটকানোর প্রয়াসে আরও আর্থিক সহজীকরণের ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দিয়েছে। 

বাজারে, এক বছরের সুদের হারের পরিবর্তন ভবিষ্যতের তহবিলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটায়। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বর্তমানে ১.৮৪% এ নেমে এসেছে। 

তবে আরও আর্থিক সহজীকরণ এবং পুঁজি বহির্ভূত ঝুঁকির কারণে চীনা ইউয়ানের উপর আরও অবমূল্যায়নের চাপ বেড়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই ইউয়ান ডলারের বিপরীতে প্রায় ৫.৫% হারিয়েছে। 

ইউয়ানের অবমূল্যায়ন আটকাতে পিবিওসিকে আরো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এসকে/  

চীন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক মন্দা

খবরটি শেয়ার করুন