ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বসংগীতের হার্টথ্রব সেলেনা গোমেজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। মাত্র ৩২ বছর বয়সে সেলেনা গোমেজ নিজস্ব উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ নারী বিলিয়নেয়ারদের একজন হয়ে ওঠেন।
টেইলর সুইফট ও রিহানার মতো বিশ্বনন্দিত সংগীত তারকাদের পথ অনুসরণ করে সম্প্রতি তিনিও এ ক্লাবের সদস্য হলেন। একজন অভিনেত্রী, সংগীতশিল্পী ও উদ্যোক্তা হিসেবে, সেই সঙ্গে তার প্রসাধনী কোম্পানির মাধ্যমে তিনি এ সাফল্য অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ, ব্র্যান্ড সহযোগিতার মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন।
টিভি সিরিজ ‘বার্নি অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এ একজন শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সেলেনা গোমেজ শোবিজ জগতে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর তিনি তার ব্যবসায়িক প্রচেষ্টা, টিভি উপস্থিতি এবং ব্র্যান্ড স্পনসরশিপের মাধ্যমে আর্থিকভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
সেলেনা গোমেজের জনপ্রিয় বিউটি লাইন, রেয়ার বিউটি তার বিলিয়নেয়ার স্ট্যাটাসে উত্থানের পেছনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। তিনি পুমা, কোচ, লুই ভিটনের মতো কোম্পানির সঙ্গে হাইপ্রোফাইল ব্র্যান্ড চুক্তির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। সেলেনা গোমেজের বৃহৎ সামাজিক মিডিয়া অনুসরণ, বিশেষত ইনস্টাগ্রাম তাকে ব্র্যান্ড স্পনসরশিপে শীর্ষ উপার্জনকারী করে তুলেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে টেইলর সুইফট এ মাইলফলক স্পর্শ করার কয়েক মাস পরেই সেলেনা গোমেজের বিলিয়নেয়ার স্ট্যাটাস আসে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিনেত্রীকে ফাঁকা রাস্তায় ফেলে যান পরিচালক
সেলেনার সম্পদের ৮০ শতাংশের বেশি বিউটি ব্র্যান্ডে তার অংশীদারিত্ব থেকে প্রাপ্ত। যদিও সংগীত তার কর্মজীবনে একটি বিরাট ভূমিকা পালন করেছে, তবে এটি তার ভাগ্য গড়তে সামান্য ভূমিকা রেখেছে। পেশাদার কৃতিত্বের বাইরেও সেলেনা গোমেজের ইনস্টাগ্রামে ৪২৪ মিলিয়ন ঈর্ষণীয় ফলোয়ার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাকে শুধু বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পেছনে ফেলেছেন।
সেলেনা গোমেজ বর্তমানে রহস্য-কমেডি টিভি সিরিজ ‘অনলি মার্ডার ইন দ্য বিল্ডিং’-এ অভিনয় করছেন। মেবেল মোরা নামে একজন তরুণ শিল্পী, যে খুনের শিকার একজনের বন্ধু ছিল–এ রকম চরিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের নজর কেড়েছে। ফরাসি মিউজিক্যাল ক্রাইম কমেডি মুভি ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এও দেখা গিয়েছিল তাকে। বিনোদন জগতের বাইরে সেলেনা গোমেজ জনকল্যাণমূলক এবং সামাজিক ও পরিবেশসংক্রান্ত কাজেও জড়িত।
এসি/কেবি