ছবি: সংগৃহীত
গত মার্চ মাস থেকে ওকিনাওয়া প্রিফেকচারের ইশিগাকির সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশে জাপানের আঞ্চলিক জলসীমায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন কোস্ট গার্ড (সিসিজি)।
জাপান কোস্ট গার্ড অবশ্য এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এআইএস হল একটি রেডিও ডিভাইস যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি জাহাজের অবস্থান, গতি এবং আরও অনেক কিছু সম্পর্কে তথ্য প্রেরণ এবং গ্রহণ করে। সমুদ্রে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে, সমস্ত যাত্রীবাহী জাহাজ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রযাত্রায় নিয়োজিত অন্যান্য জাহাজগুলোকে এই সরঞ্জামগুলো বহন করতে হয়। তাছাড়া রেডিও ট্রান্সমিশন আশেপাশের জাহাজ এবং স্যাটেলাইট দ্বারা গৃহীত হয়, এবং সমুদ্র এলাকায় নিরাপদ ন্যাভিগেশন সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এআইএস তথ্য সর্বজনীনভাবে অনলাইনে উপলব্ধ এবং সহজেই মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটে চেক করা যেতে পারে। এ ওয়েবসাইট সারা বিশ্বে জাহাজ পরিচালনার জন্য তথ্য প্রদান করে।
চীন কোস্ট গার্ড জাহাজগুলো গত মার্চ মাস থেকে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে আঞ্চলিক জলসীমা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে - ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত সমুদ্রের ব্যান্ড - এআইএস ডিভাইসগুলো পরিচালনা করছে।
এদের জাহাজগুলো চারটি বহরে যাত্রা করে। এরকমই একটি জাহাজ নং ১৩০২ গত ১৬ মে সংলগ্ন অঞ্চলে প্রবেশ করে। এটি ২০ ও ২১ মে জাপানের আঞ্চলিক জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে।
আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করে চীনা জাহাজটি একটি জাপানি মাছ ধরার জাহাজকে ট্র্যাক করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিপরীতে, জাপান কোস্ট গার্ড টহল জাহাজ চীনা জাহাজকে এলাকা ছেড়ে যেতে বলে এবং তারা তাদের এআইএস সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করেনি।
আরো পড়ুন: মাইক্রোচিপসের উপর চীনা নিষেধাজ্ঞা সহ্য করবে না যুক্তরাষ্ট্র
পূর্বে ২০১৮ সালে এআইএস তথ্য প্রেরণ করেছিল চীন। এতবছর পর আবার এআইএস এর ব্যবহার নিয়ে ধারণা করা হচ্ছে যে, চীন সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের বিরোধের ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা করছে।
তবে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের উপর জাপানের অধিকার বজায় রয়েছে এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাপান সরকারকে আরো প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
এম এইচ ডি/আইকেজে
খবরটি শেয়ার করুন