সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ *** খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নেতানিয়াহু *** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ

মেহেরপুরে আগাম গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে কৃষকের বাজিমাত

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৭ অপরাহ্ন, ২রা ডিসেম্বর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মেহেরপুরে আগাম গ্রীষ্মকালীন নাসিক জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। এ বছর জেলাজুড়ে দুই হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালং শাকও আবাদ করছেন তারা।

এদিকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমে  ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।

কৃষকরা বলছেন, ভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে এবং ন্যায্য দাম পেলে তারা লাভবান হবেন। 

কৃষি বিভাগ বলছে, গ্রীষ্মকালীন আগাম জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। 

সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের মাঠজুড়ে গ্রীষ্মকালীন নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। গেল বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে এ বছরে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করেন  অধিকাংশ কৃষক। 

সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে পেঁয়াজের চারা রোপণ করে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৬৫ মন পেঁয়াজ হবে বলে আশা কৃষকদের।

জেলা কৃষি অফিসের ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা আশরাফুন্নেসা গণমাধ্যমকে বলেন, মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এ বছর নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে। এ জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ টন। এক কাঠা জমিতে সাড়ে তিন থেকে ৪ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার আশা চাষিদের। যা জেলার চাহিদার প্রায় তিনগুণ। 

গাংনীর জুগিন্দা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি সাহারুল ইসলাম, ফয়েজ উদদীন, আব্দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এর আগে কখনও গ্রীষ্মকালীন নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজের আবাদ করিনি। স্থানীয় পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কৃষি অফিসারের পরামর্শ পেয়ে এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ করি। পেঁয়াজ অনেক ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হচ্ছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি।

আমাদের জেলায় কমবেশি বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়। গেল বছর দুএকজন কৃষক গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করে লাভবান হন। এ বছর পেঁয়াজের আবাদে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। একইসঙ্গে পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালং শাক আবাদ করেছেন চাষিরা।

আরো পড়ুন : বেশি দামে আলু বিক্রি, ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

এস/ আই.কে.জে/ 


পেঁয়াজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন