মিরপুর শেরেবাংলায় সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস। ছবি: বিসিবি
রানে ছিলেন না। শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রানে ফিরেছেন লিটন দাস। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সিরিজ জিতিয়েছেন বাংলাদেশকে, হয়েছেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়। এখন অধিনায়কের উচিত ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখ রেখে দল গড়া। আগামীকাল রোববার (২০শে জুলাই) থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজকে ঘিরে তেমন কিছু ভাবছেন কি?
এমন প্রশ্নে একটুও অপ্রস্তুত মনে হলো না লিটন দাসকে। আজ শনিবার (১৯শে জুলাই) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে উল্টো বাংলাদেশ অধিনায়ক দিলেন কৌশলী উত্তর, ‘আমি তো বর্তমানেই আছি, আপনারা নেই। আমি যখন এখানে দাঁড়িয়ে, আমাকে যদি বর্তমান নিয়ে প্রশ্ন করেন, আমি বর্তমান নিয়েই উত্তর দেব। আমাদের দলটাই এখন বর্তমান নিয়ে ভাবছে। আগামীকাল খেলা—এ অবস্থায় ছয় মাস পর কী হবে, সেটা ভেবে লাভ কী?’
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলন করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপে জানতে পারেন, ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে তার ওপর আস্থা রাখেনি বোর্ড। অন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজও জানতেন না শান্তর সঙ্গে কোনো আলাপ না করেই তাকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। এমন বাস্তবতায় ভবিষ্যৎ নয়, অধিনায়ক ও দলকে বর্তমান নিয়েই ভাবতে হয় বলে মনে করেন লিটন দাস।
পাকিস্তান সিরিজের পর আর এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ দলে নতুন করে পরীক্ষা–নিরীক্ষা হবে কী না—এমন প্রশ্নে লিটনের উত্তর, ‘এ মুহূর্তে এটিই আমাদের সেরা দল। তবে বাংলাদেশে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছেন, যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করছেন। প্রয়োজন হলে তারাও আসবেন। এতজন আছেন যে নাম বলতে গেলে হয়তো কারও নাম বাদ পড়ে যেতে পারে।’
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এসেছিল ২০১৫ সালে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ নয় বছর। তবে সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হয়েছিল ধবলধোলাই। তবে, টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কা জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামতে চান লিটন। অতীত পরিসংখ্যান নয়, ভবিষ্যৎ ইতিহাস তৈরির দিকেই চোখ লিটনের, ‘আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। সবকিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না। ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে, আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেসব ভাবলে ওই সব জিনিসই বদলে যাবে।’
খবরটি শেয়ার করুন