ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করেছেন, ইউক্রেনে যদি কোনো পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা হয়, তবে তারা ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হবে। তাদের গুলি করা হবে।
রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আয়োজিত এক অর্থনৈতিক ফোরামে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো সেনা সেখানে আসে, বিশেষ করে, চলমান সংঘাতের সময়, তবে আমরা তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করব।’ খবর সিএনএনের।
এর আগের দিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, ২৬টি দেশ তার দেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে সম্মত হয়েছে। জেলেনস্কির ভাষায়, ‘এই উপস্থিতি আকাশে, সমুদ্রে ও স্থলভাগে—সব জায়গায় থাকবে।’
পুতিন অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি রাশিয়া ও কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বা স্থায়ী শান্তি চুক্তি হয়, তবে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন থাকবে না। তিনি বলেন, যদি দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য চুক্তি হয়, তবে রাশিয়া তা পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করবে।
এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মত দিয়েছেন—যুদ্ধপরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা শুধু ইউক্রেন নয়, রাশিয়ার জন্যও থাকতে হবে। তিনি জানান, ন্যাটোর সম্প্রসারণ ও ইউক্রেনকে জোটে টানাই ছিল সংঘাতের মূল কারণগুলোর একটি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের এ বক্তব্যকে রাশিয়ার সাম্প্রতিক হুমকির ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছিলেন, পশ্চিমাদের বাড়াবাড়ির জন্য মস্কো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে পরিবর্তন আনছে।
একই সপ্তাহে চীন ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে পশ্চিমাদের বিচ্ছিন্নকরণের প্রচেষ্টা ভেস্তে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন পুতিন। এমনকি তিনি দাবি করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন