প্রতীকী ছবি
একটানা বসে কাজ করার কারণে পিঠ ও কাঁধের ব্যথা অনেকের নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের ক্ষেত্রে ব্যথা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে বেশিরভাগই ব্যস্ততা কিংবা অলসতা থেকে নিয়মিত ব্যায়াম করেন না।
অনেকের ধারণা, শারীরিক পরিশ্রমের মধ্যে না থাকলে এ ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু বডি পশ্চার বা বসার ধরনের কারণে কাঁধে কিংবা পিঠে এ ধরনের ব্যথা হয় না। এর পেছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত কাঁধ ও পিঠের ব্যথা হালকাভাবে না নেওয়াই ভালো। এতে শরীরের ভারসাম্যের উপর বড় রকমের প্রভাব পড়তে পারে। স্পাইনাল কর্ডে টান ধরলে পুরো শরীরে সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, মনসংযোগে ঘাটতি এবং ঘুমের সমস্যাও হতে পারে। এ ব্যথার কারণে একটা সহজ কাজও কঠিন মনে হতে পারে।
অনিয়মিত ঘুম: শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে মাংসপেশিতে এর প্রভাব পড়ে। রাত-ভর এপিঠ-ওপিঠ করতে থাকেন। এর ফলে মেরুদণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কারণে কাঁধ ও পিঠে বাড়তি চাপ পড়ে এবং অসহ্য যন্ত্রণা হয়।
পুষ্টির অভাব: পেশি সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান খুবই জরুরি। শরীরে এসব উপাদানের ঘাটতি হলে পেশিতে টান ধরে, ব্যথাও হতে পারে। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এ সমস্যা বাড়ায়।
পিঠ ও কাঁধের ব্যথা কমাতে যা করবেন-
দিনে অন্তত ৩০-৪০ মিনিট পর পর শরীরে পশ্চার ঠিক করা উচিত। দীর্ঘ সময় বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অর্থাৎ একই পজিশনে না থাকাই ভালো। মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন, যোগাসন, ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।
দৈনিক অন্তত ৭-৮ ঘণ্টার গভীর ঘুম প্রয়োজন। এটা করতে ভুলবেন না। ডায়েটে এমন সব খাবার রাখুন, যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে। সমস্যা না কমলে অবশ্যই ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া উচিত।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন