ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
আমেরিকার চাপ ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তেল কেনা অব্যাহত রাখলে ভারতকে ৫ শতাংশ ছাড় দেবে রাশিয়া। ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার উপ-বাণিজ্য প্রতিনিধি এভজেনি গ্রিভা এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আলোচনা সাপেক্ষে ভারত রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনায় ৫ শতাংশ ছাড় পাবে।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ দূতাবাসের উপ-প্রধান রোমান বাবুশকিনের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাশিয়ার এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন আমেরিকা ভারতকে রুশ তেল কেনার জন্য অভিযুক্ত করে কঠোর শুল্ক আরোপ করেছে। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো অভিযোগ করেছেন, ভারত রুশ তেলের ‘গ্লোবাল ক্লিয়ারিংহাউস’ হিসেবে কাজ করছে এবং এর মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়ন করছে। এমন আরও কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এ নিয়ে ভারতের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (১৯শে আগস্ট) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো রাশিয়ার ওপর ‘পরোক্ষ চাপ’ সৃষ্টি করা। লেভিট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ করার জন্য জনমত তৈরি করছেন এবং এর অংশ হিসেবেই ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারত রুশ তেলের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে, যা মস্কোকে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করছে।’
আমেরিকার কর্মকর্তারা আরও অভিযোগ করেছেন, ভারত সস্তায় রুশ তেল কিনে তা পেট্রোল ও ডিজেলে রূপান্তরিত করে ইউরোপের মতো পশ্চিমা দেশগুলোতে রপ্তানি করে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি মুনাফা করেছে। তারা এই বাণিজ্যকে ‘আর্বিট্রেজ’ বা সুবিধাবাদী মুনাফাবাজি হিসেবে অভিহিত করেছে।
খবরটি শেয়ার করুন