শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারত যে পারমাণবিক বোমা ফেলেনি, এটা পাকিস্তানের বুঝতে সময় লেগেছে ৩০-৪৫ সেকেন্ড *** আসাদের ঘনিষ্ঠদের যেভাবে ধরা হচ্ছে সিরিয়ায় *** সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** এনবিআরের কমিশনারসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু *** গুপ্তচর সন্দেহে বিপুলসংখ্যক আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান *** ডেঙ্গু শনাক্তে ১৯ হাজার কম্বো কিট দিল চীন *** বিশ্বকাপে চোখ রেখে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ *** সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন *** মোটর ও ইলেক্ট্রনিকস খাতে যৌথ উদ্যোগ চান বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা *** আইজিপির সঙ্গে ইউনেসকো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে সৈয়দ আব্দুল হাদী...

বিনোদন প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:১৯ অপরাহ্ন, ১লা জুলাই ২০২৫

#

সৈয়দ আব্দুল হাদী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সংগীতাঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি সৈয়দ আব্দুল হাদী। অনেক কালজীয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। আধুনিক, দেশাত্মবোধক ও চলচ্চিত্রে গাওয়া তার অধিকাংশ গানই গেঁথে আছে ভক্ত-শ্রোতার মনে। তাকে নিয়ে আজ থেকে ১০ বছর আগে জন্মদিনের একটি বিশেষ গান করা হয়েছিল। গানটির শিরোনাম ছিল ‘তুমি ছুঁয়েছ নীলিমার নীল’। 

ওমর ফারুকের কথায় ও প্রয়াত সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদের সুর ও সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন ফাহমিদা নবী, মুহিন, চম্পাসহ কয়েক শিল্পী। অভি মঈনুদ্দীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গানটির প্রযোজনা করেছিলেন ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ।

বরেণ্য সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর আজ ৮৫তম জন্মবার্ষিকী। দিনটিকে ঘিরে কোনো পরিকল্পনা নেই। অবশ্য সৈয়দ আব্দুল হাদী জানান, কখনোই তার জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো আয়োজন তিনি করেননি। সবাই দিনটিতে শুভেচ্ছা জানান, দোয়া করেন, এটাই তার বড় প্রাপ্তি।

সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘কখনোই জন্মদিন নিয়ে বিশেষভাবে উদ্‌যাপনের আগ্রহ আমার ছিল না। এখনো নেই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটে, এটুকুই আমার ভালোলাগা। আর  ৮৫তম জন্মবার্ষিকী এটা কোনো বিশেষ কিছু নয়। মানুষ বাঁচলে চলমান প্রক্রিয়ায় তার বয়স বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এটাকে বিশেষায়িত করার কোনো কিছু নেই। আল্লাহ সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন, আলহামদুল্লিাহ। সবার কাছে দোয়া চাই যেন সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। আরও কিছু ভালো ভালো গান যেন গেয়ে যেতে পারি।’

সৈয়দ আব্দুল হাদী কখনোই প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব করে গান করেননি। গানকে ভালোবেসে গান করে গেছেন। গান গেয়ে মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছেন, এটাই তার কাছে বড় প্রাপ্তি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে অনার্স পড়ছেন। সেই বয়সেই মূলত চলচ্চিত্রে গান করার সুযোগ পান তিনি।

১৯৬০ সালে ‘ইয়ে ভি এক কাহানি’ ছবিতে তিনি প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। এ ছবিতে করিম শাহাবুদ্দিনের সংগীত পরিচালনায় প্লে-ব্যাক করেছিলেন। এরপর আরও কয়েকটি উর্দু ছবিতে গান গাওয়ার পর ১৯৬৪ সালে পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের ছবি ‘ডাক বাবু’তে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রথম বাংলা কোনো ছবিতে গান গাওয়া তার।

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের লেখা ‘চাতুরী জানে না মোর বধূয়া’ গানটি গেয়েছিলেন আলী হোসেনের সুরে। গানটি সে সময় ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছিল। সৈয়দ আব্দুল হাদী সবচেয়ে বেশি ডুয়েট গান করেছেন সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে। প্রয়াত সুবল দাসের অনুপ্রেরণায় সংগীত পরিচালনা করেছিলেন ‘ফেরারী’ নামের একটি সিনেমার। একটি সিনেমায় গানও লিখেছিলেন তিনি। সিনেমার নাম ‘তানসেন’। পরে ভেবে দেখলেন আসলে এ কঠিন দুটি কাজ তার নয়। তার মূল কাজই হচ্ছে গান গাওয়া। 

তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবিতে গান গাওয়ার জন্য। ২০০০ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। এদিকে আজ চ্যানেল আইয়ে সকালে ‘গান দিয়ে শুরু’ অনুষ্ঠানে সৈয়দ আব্দুল হাদীর জন্মদিন উপলক্ষে সংগীত পরিবেশন করেন আলাউদ্দিন, মহারাজা ও শানু।

সৈয়দ আব্দুল হাদীর হাত ধরেই এনটিভিতে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘কিছু কথা কিছু গান’ এবং পরে বাংলাভিশনে ‘গানে গানে দেশে দেশে’ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এ দুটি অনুষ্ঠানের কোনোটার সঙ্গেই আপাতত আর তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

সৈয়দ আব্দুল হাদী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন