বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৬১ বছর পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়লেন চোই *** নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক *** তলেতলে আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়েছে শিবির: মির্জা আব্বাস *** নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি *** জাকসু নির্বাচন আজ, এখনো মেলেনি ডোপ টেস্টের ফলাফল *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন মাহমুদুর রহমান-নাহিদ ইসলাম *** নেপালের কারাগার থেকে কমিউনিস্ট নেতা টপ বাহাদুরও পালিয়েছেন *** গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে ইসলামবিরোধী আমেরিকান বাইকার গ্যাং *** নেপাল থেকে জামালদের ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইট, অপেক্ষা অনুমতির *** ঘুষকাণ্ডে বিআইডব্লিউটিএর দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

দুই বছরে তৃতীয়, এবার বিলিয়নিয়ার প্রধানমন্ত্রী পেল থাইল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:২০ অপরাহ্ন, ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল। ছবি: এএফপি

থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুতিন চার্নভিরাকুলকে নির্বাচিত করেছে। থাই নির্মাণ খাতের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী আনুতিন বিরোধী দলের যথেষ্ট সমর্থন আদায় করে এই পদে বসছেন। গত দুই বছরের মধ্যে তিনি দেশটির তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। এর আগে একাধিক নেতা বিভিন্ন কারণে পদচ্যুত হয়েছেন। খবর বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দেশটির সাংবিধানিক আদালত নৈতিকতা ভঙ্গের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ ব্যবস্থাপনায় তার ভূমিকা ঘিরে এ সিদ্ধান্ত আসে। এরপর আনুতিনের ভুমজাইথাই পার্টি সিনাওয়াত্রা পরিবারের নেতৃত্বাধীন ফেউ থাই জোট থেকে সরে এসে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী পদে জয়লাভ করে।

তবে থাইল্যান্ডের জন্য অনিশ্চয়তা এখানেই শেষ হচ্ছে না। দেশটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বারবার আদালতের হস্তক্ষেপ ও সামরিক অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছে।

আনুতিনের ক্ষমতায় আসা সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দেশটির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল পরিবারটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর) রাতে থাইল্যান্ডজুড়ে নজর ছিল একটি প্রাইভেট জেটে, যাতে চড়ে থাকসিন দেশ ছেড়েছেন। আজ শুক্রবার ভোরে তিনি সামাজিক মাধ্যমে জানান, চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন এবং ৯ই সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরার জন্য সময়মতো দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই মামলায় তার কারাদণ্ডও হতে পারে।

২০২৩ সালের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ফেউ থাই এখন কার্যত মাঠের বাইরে চলে গেছে। তাদের শেষ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন চাইকাশেম নিতিসিরি। তবে তিনি খুব একটা পরিচিত নন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ।

অতীতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের জনবান্ধব নীতিগুলো নিম্ন আয়ের থাই জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন এনে দিয়েছিল। তবে এতে তারা ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতান্ত্রিক অভিজাত গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।

পেতংতার্ন প্রধানমন্ত্রী হলে অনেকে মনে করেছিলেন, পরিবারটির জন্য এটি ছিল একটি প্রত্যাবর্তন। তবে তার বরখাস্ত হওয়া আবারও প্রমাণ করছে যে, তারা রক্ষণশীল রাজতান্ত্রিক অভিজাতদের অনুকম্পা হারিয়েছে। এর আগে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন ও তার বোন ইংলাক—দুজনকেই যথাক্রমে ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।

জে.এস/

থাইল্যান্ড পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা আনুতিন চার্নভিরাকুল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন