ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ই জুলাই) সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল একেবারেই কম।
এক বছর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মানুষের কথা শুনতে ১লা জুলাই থেকে সারাদেশে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ই জুলাই) গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করেছিল এনসিপি। এই কর্মসূচি ঘিরে বুধবার সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত চার দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
হামলা হয় সদর উপজেলার কংশুরে পুলিশ সদস্য ও তাদের গাড়ি, সদর উপজেলার ইউএনও, শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা কারাগার চত্বরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে। এ সময় বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার রাত ৮টা থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ দেওয়া হয় গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে। কারফিউ জারির আগে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। এরপর গতকাল সেই কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন করে শুরু হওয়া কারফিউ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর মাঝে আজ শুক্রবার (১৮ই জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে কারফিউর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন