ছবি: দৈনিক সমকাল
বাবার দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গোপালগঞ্জে এসেছিলেন আশিক ভুঁইয়া (২৩)। বিয়ের পর নতুন মাসহ ফিরছিলেন ঢাকার মিরপুরে। তবে বাসে ওঠার আগেই তাকে ধরে পুলিশ। গত বুধবার (১৬ই জুলাই) গোপালগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। খবর দৈনিক সমকালের।
আশিকের বাবা শাহীন আলমের সঙ্গে আজ রোববার (২০শে জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে কথা হয় দৈনিক সমকালের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইন্দ্রজিৎ সরকারের। ইন্দ্রজিৎ ঢাকায় সাংবাদিকতা করেন। গোপালগঞ্জ পরিস্থিতি নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদনের জন্য তিনি ঢাকা থেকে ওই জেলায় গেছেন।
সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ সরকারকে শাহীন আলম বলেন, ‘আমরা ঢাকার মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে থাকি। ছয় মাস আগে আমার প্রথম স্ত্রী মারা যান। এরপর ছেলেদের আগ্রহের কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি হই। গোপালগঞ্জ সদরের করপাড়া ইউনিয়নের কংসুরের এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। এরপর শুক্রবার কংসুরে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সেদিন দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলেসহ ছয়জনকে নিয়ে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকায় ফেরার উদ্দেশে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন বাসস্ট্যান্ডে যাই।'
তিনি জানান, 'বাসের অপেক্ষায় থাকার সময়ে আশিক অদূরে একটি দোকানে কিছু কিনতে যায়। অনেকক্ষণ না ফেরায় এগিয়ে গিয়ে জানতে পারি, তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশের গাড়ির খোঁজ করতে করতে শেষ পর্যন্ত সদর থানায় যাই। সেখানে শুনি হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে শনিবার (১৯শে জুলাই) আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
শাহীন আলম জানান, তিনি পেশায় গাড়িচালক। তার তিন ছেলের মধ্যে বড় আশিক পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। বছরখানেক আগে আশিক সদরের উরফি ইউনিয়নের মধুপুরে বিয়ে করেন।
আজ দুপুরে কারাফটকে শাহীন আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী, আশিকের স্ত্রী, শাশুড়িসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আশিকের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও সেই অনুমতি মেলেনি। পরে তারা জামিন আবেদনের জন্য ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা চালান। সেজন্যও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের।
এ ব্যাপারে জানতে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানের মুঠোফোন সেটে একাধিকবার কল করে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায় বলে ইন্দ্রজিৎ সরকার গোপালগঞ্জ থেকে পাঠানো তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। থানার পরিদর্শকও (তদন্ত) তার কল রিসিভ করেননি।
খবরটি শেয়ার করুন