শুক্রবার, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** লিটনের ফিফটিতে জয়ে শুরু বাংলাদেশের *** নির্বাচন সামনে রেখে অবশ্যই মৌলিক সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা *** গত ১৫ বছর বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের আবেদনের আহ্বান: আইএসপিআর *** জাকসুর ভোট গ্রহণের ৫ ঘণ্টা পর গণনা শুরু *** গাঁজা উৎপাদন কেন্দ্রকে তীব্র গন্ধ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ *** ভোটের আগে ইসির ৬১ কর্মকর্তার রদবদল *** ৪৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ *** জামায়াতের একাত্তরের ভূমিকার বিরোধিতা করার নৈতিক অবস্থান আ. লীগ, বিএনপির নেই *** সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল *** দক্ষিণ এশিয়ায় চার বছরে তিন সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসছে কী

ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে গ্যাসক্ষেত্র থেকেই বছরে আয় করবে ৪০০ কোটি ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, ২০শে জুলাই ২০২৫

#

বর্তমান বাজারদরে গাজা মেরিন গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার রাজস্ব আদায় সম্ভব। ছবি: আনাদোলু

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রশ্নে নতুন করে আলোচনা শুরুর প্রেক্ষাপটে গাজার উপকূলবর্তী গ্যাসক্ষেত্র ‘গাজা মেরিন’ নিয়ে প্রায় তিন দশক ধরে চলমান রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতা নতুন মোড় নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিন যদি একটি রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় তাহলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পিএ যে গাজা মেরিনের গ্যাসসম্পদ উন্নয়নের বৈধ অধিকার রাখে, তা বাস্তবায়ন নিয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত থাকা বিশেষজ্ঞ মাইকেল ব্যারন তার ‘দ্য গাজা মেরিন স্টোরি’ নামক গবেষণাগ্রন্থে দেখিয়েছেন, বর্তমান বাজারদরে এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার রাজস্ব আদায় সম্ভব। যা আগামী ১৫ বছরে পিএর জন্য বার্ষিক ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের পথ খুলে দিতে পারে। তার মতে, এ আয় ফিলিস্তিনিকে কাতার বা সিঙ্গাপুরের মতো পরিণত করবে না, তবে এটি ফিলিস্তিনের নিজস্ব উপার্জন। এ উপার্জন ফিলিস্তিনের বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে।

তবে ২০০০ সালে গ্যাস আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে রয়েছে প্রকল্পটি। ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তিতে ফিলিস্তিনের উপকূলীয় জলসীমা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার অধিকার স্বীকৃত হলেও, ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র জাতিসংঘের সাগর আইন বিষয়ক কনভেনশন (ইউএনসিএলওএস) স্বাক্ষর করার মাধ্যমে তাদের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইইজেড) দাবি করে।

২০১৯ সালে তারা বিস্তারিতভাবে তাদের সামুদ্রিক সীমানার দাবি তুলে ধরে। কিন্তু ইসরায়েল ইউএনসিএলওএসের সদস্য নয়। তারা এ অঞ্চলের জলসীমাকে “নো-ম্যান’স ওয়াটার” হিসেবে চিহ্নিত করে মালিকানা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে।

জোন জি নামে পরিচিত এ অঞ্চলকে নিজেদের সামুদ্রিক এলাকা হিসেবে দাবি করে অনুসন্ধান লাইসেন্স জারি করে ইসরায়েল। দেশি বিনিয়োগ টানার উদ্দেশ্যে বড় বড় জ্বালানি কোম্পানিকে সেখানে কাজের অনুমতি দেয় তারা। ইতালির রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি ইএনআইসহ কয়েকি বিদেশি কোম্পানিকে ওই অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধানের লাইসেন্স দেয় ইসরায়েল। খুব শিগগিরই গ্যাস অনুসন্ধানের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইএনআই।

ফিলিস্তিন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন