মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

ডাচ শিশুরা বিশ্বের ‘সবচেয়ে সুখী’ কেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: ফ্রি-পিক

ডাচ শিশুরা বিশ্বের সবচেয়ে সুখী। এ বছর ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওইসিডিভুক্ত ৪৩টি দেশের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের শিশুরাই সবচেয়ে সুখী বলে উঠে এসেছে। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছে? এর পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে আমেরিকান কিশোরী মেরি ফ্রান্সিস রাস্কেল নিজের অভিজ্ঞতা আর পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক লেখায়।

মেরি ফ্রান্সিস সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়েছিল। হারলেম শহরের এক প্রবাসী আমেরিকানের বাসায় কয়েক দিন কাটিয়ে সে দেখে, ডাচ শিশুদের জীবনধারায় স্বাধীনতা বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পায়। তিন সন্তানের মা সেই প্রবাসী জানান, তার ছেলেমেয়েরা নিজেরাই বাইক চালিয়ে স্কুলে যায়, বন্ধুর বাসায় যায়, দোকানে যায়। কেউই সব সময় বড়দের ওপর নির্ভরশীল নয়।

এমন চিত্র শুধু এই পরিবারের নয়। নেদারল্যান্ডসে শিশুদের স্বাধীন চলাফেরা, বাইক চালিয়ে যাতায়াত, বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে খেলা—সবই স্বাভাবিক। ছোটবেলা থেকে বাইক চালানো শেখানো হয় দেশটিতে। এর মাধ্যমে গড়ে ওঠে আত্মবিশ্বাস। তথ্যসূত্র সিএনএনের।

মজার ব্যাপার হলো, ডাচ ও আমেরিকা, দুই দেশের অভিভাবকরাই শিশুদের স্বাধীনতা দিতে চান বলে দাবি করেন। ২০২৩ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, পাঁচ থেকে আট বছর বয়সী শিশুদের ৭৫ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন, শিশুকে নিজের কাজ নিজে করতে দেওয়া উচিত। ৯ থেকে ১১ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৮৪ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, আমেরিকান শিশুদের শুধু ৩৩ শতাংশ একা হাঁটতে বা বাইকে করে বন্ধুর বাসায় যেতে পারে। আর ১৫ শতাংশ শিশু হ্যালোইন উৎসবে অংশ নিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকান অভিভাবকরা অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণে সন্তানদের স্বাধীনতা সীমিত করে ফেলছেন। ২০২৩ সালের পিউ রিসার্চের জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ অভিভাবক সন্তানদের মানসিক সমস্যার আশঙ্কায় ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’। ৩৬ শতাংশ ‘কিছুটা উদ্বিগ্ন’। এর ফলে অনেকে নিজেরাই স্বীকার করেন, তারা ‘অতি সতর্ক’।

গবেষকরা বলছেন, স্বাধীন চলাফেরা ও নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ শিশুদের মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, খেলাধুলা, বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে যাওয়া বা স্বাধীনভাবে কিছু করার সুযোগ কমে যাওয়াতেই শিশু-কিশোরদের মধ্যে মানসিক সমস্যার হার বেড়েছে।

এই গবেষণায় ‘ইন্টার্নাল লোকাস অব কন্ট্রোল’ ধারণার কথা বলা হয়েছে। এর মানে হলো, একজন ব্যক্তি নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার অনুভূতি পায়। শিশুরা যদি ছোটবেলা থেকে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে না শেখে, তাহলে বড় হয়ে তারা নিজের সমস্যা সমাধানে অক্ষম হয়ে পড়ে, যা মানসিক উদ্বেগ বা বিষণ্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

জে.এস/

নেদারল্যান্ডস ডাচ শিশু

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন