একটি নাটকের জন্য এক হয়েছে দুই দেশের দুই নাট্যদল। বাংলাদেশের প্রাচ্যনাট এবং সুইডেনের উঙ্গা ক্লারা নাট্যদল যৌথভাবে মঞ্চে আনছে ‘গার্ডিয়ানস অব দ্য গডস’। আজ (৬ই সেপ্টেম্বর) ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি। উদ্বোধনী দিনে রয়েছে দুটি প্রদর্শনী, প্রথমটি সন্ধ্যা ৭টায়, দ্বিতীয়টি রাত ৮টা ১৫ মিনিটে।
গার্ডিয়ানস অব দ্য গডস নাটকটি লিখেছেন এরিক উডেনবার্গ। বাংলায় রূপান্তর করেছেন প্রজ্ঞা তাসনুভা রুবাইয়াত। শিশুদের নিয়েই লেখা হয়েছে নাটকের গল্প। এই পৃথিবীর সব শিশু একটিমাত্র কারণে একই সুতায় বাঁধা; তারা বাস করে এমন এক পৃথিবীতে, যা প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পাঁচ মহাদেশের ১১টি দেশের শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এরিক উডেনবার্গ লিখেছেন নাটকটি। নির্দেশনা দিয়েছেন গুস্তাভ দাইনফের।
গত ৩০শে মে তুরস্কের দিয়ারবাকর শহরে অনুষ্ঠিত হয় নাটকটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। এখন পর্যন্ত পাঁচ মহাদেশের ২৫টি দেশে মঞ্চায়িত হয়েছে এটি। এবার গার্ডিয়ানস অব দ্য গডস দেখা যাবে ঢাকায়। বাংলাদেশ থেকে এই নাটকে অংশ নিচ্ছেন অভিনেতা তৌফিকুল ইসলাম ইমন, অভিনেত্রী নাহিদা আখতার আঁখি এবং কোরিওগ্রাফার ডায়ানা মেরিলিন।
তৌফিকুল ইমন বলেন, ‘নাটকটির বিশেষত্ব হলো, এখানে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা উপস্থাপন করেন শিশুদের অভিজ্ঞতা এবং তাদের ভেতরের জগৎকে। কেন্দ্রীয় চরিত্র দুটি রূপ বদলাতে পারে, তাদের আছে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা। তাদের এই জাদুকরি ক্ষমতা আমাদের সুযোগ করে দেয় শিশুদের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জটিল সম্পর্কের ভেতরের দিকটা দেখার। আমাদের শেখায়, শিশুরা কীভাবে এই সম্পর্কগুলোর ভেতর দিয়ে এগোয়, এদের প্রতিরোধ করে কিংবা সংলগ্ন থাকে এমন এক পৃথিবীর সঙ্গে, যা আদতে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের দ্বারাই শাসিত।’
তৌফিকুল ইমন আরও বলেন, ‘এই নাটকে বাংলাদেশ থেকে আমার সহযাত্রী নাহিদা আঁখি ও ডায়ানা মেরিলিন। একই সঙ্গে অভিনেতা ও উপদেষ্টা হিসেবে স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি যুক্ত করার পাশাপাশি তাদের সৃজনশীলতা থেকেও আমি শিখেছি। এ ছাড়া ১১টি দেশের ২২ জন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা মানে প্রতিটি মহড়াই ছিল সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক অফুরন্ত সুযোগ, যেখানে প্রত্যেক শিল্পী তাদের নিজস্ব অভিনয়ভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রযোজনাটিকে সমৃদ্ধ করেছেন।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন