ফাইল ছবি
বাংলাদেশে নতুন করে উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যা রুখে দেওয়া না গেলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আজকে একটা নতুন করে কথা উঠছে, ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশে একধরনের উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এই উগ্রবাদকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। তাহলে বাংলাদেশের যে অস্তিত্ব আছে, সেই অস্তিত্ব রক্ষা পাবে না।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২১শে আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সাল আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছিল, ভূখণ্ড দিয়েছিল। আমাদের একটা স্বাধীন সত্তা দিয়েছিল এবং সেই জন্য আজকে আমার অস্তিত্ব আছে, আমি টিকে আছি। ২৪ এর জুলাই–আগস্টের শহীদেরা আমাদের একটা নতুন গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। এই দুটো জিনিস কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজকে একটা প্রচেষ্টা আছে ৭১–কে ভুলিয়ে দেওয়ার। এটার বিরুদ্ধে কিন্তু আমাদের সমস্ত বাংলাদেশের নাগরিককে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সাম্প্রদায়িকতাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদেরকে সেই রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই দেশটা আমার, আপনার, আমাদের সবার। সংকটের সময় আমরা সব সময় বলেছি, মানুষকে মানুষ হিসেবেই বাঁচাতে হবে। তাই জাতিগত, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই ঐক্যের ডাক বাস্তবায়ন করলেই স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম সফল হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ভগবান কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য। যুগে যুগে অন্যায়-অবিচার বেড়ে গেলে অবতারের আবির্ভাব হয়েছে। ইসলামসহ প্রতিটি ধর্মেই নবী-রাসুলরা মানুষকে সঠিক পথে ডেকেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক—হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বিএনপি, আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য কেউ। আমরা সবাই বন্ধু।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন