ছবি: সংগৃহীত
ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থা স্টারলিংক। সংস্থাটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স পেয়ে গেছে। পরীক্ষামূলক সেবা দিয়েছে। শিগগির পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা কার্যক্রম শুরু করবে স্টারলিংক। ভারতেও স্টারলিংকের পরিষেবা চালু নিয়ে তোড়জোড় চলছে। তবে প্রতিবেশী দুই দেশে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী পাকিস্তান ও বাংলাদেশে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে ভারত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টারলিংক নতুন করে নিয়ন্ত্রণবিধির মুখে পড়তে যাচ্ছে। ভারতের কেন্দ্র সরকার কোম্পানিটির পাকিস্তান ও বাংলাদেশে তাদের আসন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
পেহেলগামে হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত ও আত্তারি স্থল সীমান্ত বন্ধসহ বেশ কয়েকটি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। জবাবে পাকিস্তান ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করেছে। এমনকি কাশ্মীর সীমান্তে অস্ত্র সংবরণ–সংক্রান্ত সিমলা চুক্তিও স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এ উত্তেজনার মধ্যে স্টারলিংকের আঞ্চলিক কার্যক্রম নিয়ে ভারত সরকারের উদ্বেগ বেড়েছে। ভারতের টেলিযোগাযোগ বিভাগের (ডিওটি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এখনো কিছু নিরাপত্তা উদ্বেগ রয়েছে। ভারতে কোনো কোম্পানিকে যোগাযোগ পরিষেবা দিতে হলে অনেক প্রযুক্তিগত জটিলতা পূরণ করতে হয়।
একটি প্রধান উদ্বেগের কারণ হলো, পাকিস্তান গত মাসে স্টারলিংককে তাদের মহাকাশ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে একটি অস্থায়ী নিবন্ধন দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সরকার আশা করছে, স্টারলিংক ২০২৫ সালের মধ্যে সেখানে কার্যক্রম শুরু করবে। এর বিপরীতে গত সপ্তাহেই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ স্টারলিংককে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দিয়েছে। কোম্পানিটি শিগগির বাংলাদেশে পরিষেবা চালু করার অনুমতি পেয়েছে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন