ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব ও তেলের সম্ভাব্য উত্তোল বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী চলতি ও আগামী বছর সারা বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক। খবর রয়টার্সের।
আগের পূর্বাভাস সংশোধন করে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দৈনিক চাহিদা ১৩ লাখ ব্যারেল এবং ২০২৬ সালে ১২ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল বাড়তে পারে।
এ বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ১ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে ওপেক। আর ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ১ শতাংশ; আগের পূর্বাভাসে যা ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ।
রয়টার্স সূত্রে ওপেকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, গত ২রা এপ্রিল ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ ও ওপেক প্লাসের (ওপেক ও রাশিয়াসহ অন্যান্য সহযোগী দেশ নিয়ে গঠিত) সম্ভাব্য উত্তোলন বেড়ে যাওয়ার ফলে চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমে যায়। এটি বিগত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে বা ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসে।
এ বছরের শুরুতে বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলেও আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ পরস্পরের পণ্যে শুল্ক আরোপের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক।
এদিকে সাম্প্রতিক অতীতে তেলের দামে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে, অর্থাৎ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর। ওই বছর তেলের গড় দাম বেড়ে ১৩৯ ডলারে ওঠে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করে। যদিও পরের বছর তেলের দাম কমে ৮০ ডলারে নেমেছিল।
আরএইচ/