মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

বিকেলে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, ২৬শে জানুয়ারী ২০২৫

#

দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ঘুমান এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এমনকি এটা অনেকের প্রতিদিনের রুটিনের একটু অংশ। বিকেলে ঘুমের অভ্যাস আমাদের শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষের স্পষ্ট ধারণা নেই। এ বিষয়ে একেক জন একেক কথা বলেছেন। কেউ বলেন, এটা মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে আরেক দলের ভাষ্য এটা স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। চিকিৎসকরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বিকেলে ঘুমের অভ্যাস প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। হেলথ শটের এক প্রতিবেদনে এই বিষয়ে উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্য।  

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ঘুমাতে হবে। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নিজের দরকারি সব তথ্য ঠিকমতো গুছিয়ে নেয়। অপরদিকে সব অপ্রয়োজনীয় তথ্য সরিয়ে রাখে। শরীর এই সময় নিজেকে সারিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত থাকে। এমনকি এই সময়তেই দেহে বেশিরভাগ গঠনমূলক কাজ হয়। ঘুমের মাধ্যমেই কেটে যায় ক্লান্তি। পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হয় শরীর। তাই সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর বিকল্প নেই।   

আমরা প্রকৃতিগতভাবে রাতে ঘুমাই এবং দিনে জেগে থাকি। এটাই আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তবে অনেকেই বিকেলে ঘুমিয়ে নেন। কেউবা বলেন, বিকালে ঘুমিয়ে নিলে তারা ভালো করে কাজ করতে পারে। আবার অনেকে বলেন, এটা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। সত্যি হচ্ছে, ভোরে ঘুম থেকে জাগলে সারাদিন নানা কাজের ব্যস্ততায় একসময় ক্লান্তি ভর করে শরীরে। ক্লান্ত শরীরে ঠিকভাবে কাজ করা সম্ভব হয় না অনেক সময়।

মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়লে স্বাভাবিক মনঃসংযোগও ব্যাহত হয়। কাজের গতি কমে যায়। মনোযোগ এবং কাজের গতি আনতে বিকেলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের ‘ন্যাপ’ অর্থাৎ ছোট্ট ঘুম দেয়া যায়। দিনে ক্লান্ত হলে স্বল্পমেয়াদি হালকা ঘুম আমাদের জন্য উপকারী। সুযোগ থাকলে দুপুরে কিংবা বিকেলে ছোট্ট ঘুম দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এই ঘুমটা হতে হবে রোজ একটি নির্দিষ্ট সময়ে, এলোমেলো রুটিনে নয়।

তবে অনেকে বিকেলে কয়েক ঘণ্টা ঘুমান যেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমেরিকান একাডেমি অব নিউরোলজির মেডিক্যাল জার্নালের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, দিনে যারা বেশিসময় ঘুমান তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।  যারা ৯০ মিনিটের বেশি সময় বিকেলে ঘুমিয়ে নেন স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। সমীক্ষাটি থেকে আরও জানা যায়, দিনে বেশি ঘুমালে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় যেটা পরে বিভিন্ন রোগের কারণ। এমনকি এতে অনেককে অনিদ্রার রোগে ভুগতে হয়। 

ওআ/কেবি

ঘুম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন