মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ *** ২৪শে জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত *** ঠাকুরগাঁওয়ে অপহৃত কিশোরী ৫০ দিন পর টাঙ্গাইলে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ *** ভারত থেকে আজই দেশে আসছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও সরঞ্জাম *** পাইলট খালি মাঠে বিমানটি নামানোর চেষ্টা করেছিলেন: বিমানবাহিনীর প্রধান *** ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন

জুলাই-আগস্টের ঘটনায় অনেক বাদী মামলা-বাণিজ্য করছেন : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪৫ অপরাহ্ন, ৮ই ডিসেম্বর ২০২৪

#

ছবি - সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের ঘটনায় করা অনেক মামলার বাদী বাণিজ্য করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হবে। এসব ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার দুপুরে ডিএমপি সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, গণমামলায় গণআসামি থাকবে না। অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না। যারা অপরাধে জড়িত না, তাদেরকে ধরা হবে না। তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকা সঠিক ছিল না। ভূমিকা সঠিক হলে এত লোকের মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। মরণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ওই আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় যেসব সাংবাদিকদের মামলার আসামি করা হয়েছে, তদন্তে তাদের নামও বাদ যাবে। বাদী মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে প্রমাণ না পেলে নাম বাদ দেবেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক বাদী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করেছেন পরিকল্পিতভাবে বাণিজ্য করতে। এজন্য ১৫০-২০০ বা আরও বেশি আসামি করা হয়েছে। প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতা বা বিগত সরকারের শীর্ষ নেতাদের নাম দিয়ে পরে ঢালাওভাবে ইচ্ছেমতো নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশকে মামলা নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

মামলা এবং গ্রেফতার বাণিজ্যে কিছু পুলিশ সদস্য জড়িত স্বীকার করে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গত ৫ই আগস্টের পর পুলিশ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায়। ওই সময় রাজারবাগের পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। আত্মরক্ষার্থে খিলগাঁও থানা থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পুলিশ রাজারবাগে যায়। ট্রমার মধ্যে পড়ে যায় পুলিশ সদস্যরা, যা এখনো কাটেনি। এমন বীভৎস পরিস্থিতির মুখোমুখি পুলিশ কখনো হয়নি। পুলিশের অনুপস্থিতে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। খুন, লুটপাট, ছিনতাই, ডাকাতি বেড়ে যায়।

সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ কার্যনির্বাহী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আই.কে.জে/   

ডিএমপি কমিশনার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন