নিহত (বা থেকে) রমজান কাজী, দীপ্ত সাহা, ইমন ও সোহেল মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত চারজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। তবে নিহত কারও ময়নাতদন্ত হয়নি।
নিহতরা হলেন শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৭), শহরের শানাপাড়ার সোহেল মোল্লা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।
এর মধ্যে পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে গত বুধবার (১৬ই জুলাই) রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজীকে বুধবার রাতে এশার নামাজের পর এবং মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ও ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদারকে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ই জুলাই) সকালে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক।
এ সময় সাংবাদিকেরা তার কাছে নিহতদের ময়নাতদন্ত না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি। ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী সময়ে দেখা হবে।
দীপ্ত সাহার বাবা সন্তোষ সাহা মারা গেছেন। দুই ভাই শহরের চৌরঙ্গি এলাকায় একটি তৈরি পোশাকের দোকান চালান। সংঘর্ষের সময় দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে তিনি গুলিবিদ্ধ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন