রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: ইরান ইন্টারন্যাশনাল
সম্প্রতি ইরানের এক শীর্ষ কট্টরপন্থী রাজনীতিক মোহাম্মদ-হোসেইন সাফফার-হারান্দি দাবি করেছেন, রাশিয়া আগেই ইসরায়েলের কাছ থেকে জানতে পেরেছিল যে, তারা ইরান সরকারের পতনের পরিকল্পনা করছে। তার এই মন্তব্যে ইরানে রাশিয়ার ভূমিকাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ইরানের এক্সপিডিয়েন্সি কাউন্সিলের এই সদস্য রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, গত জুনে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যে ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু করেছিল, তা ছিল একটি পরিকল্পিত ‘সরকার পতনের’ অংশ। হারান্দির দাবি, যুদ্ধের দুই থেকে তিনদিন আগেই ইসরায়েলের কিছু প্রতিনিধি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই পরিকল্পনার কথা জানায় এবং তেহরানের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতা পরিত্যাগ করতে বলে।
হারান্দি বলেন, ‘রাশিয়াকে বলা হয়েছিল, ইসলামিক রিপাবলিকের কয়েক দিনের মধ্যেই পতন ঘটবে।’ তবে তিনি কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছেন বা রাশিয়া ইরানকে সতর্ক করেছিল কি না—সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, হারান্দির বক্তব্য নিয়ে ইরানি বিশ্লেষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেশটির সাংবাদিক ও আইনজীবী এসফান্দিয়ার জোলগাদর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘যদি হারান্দির দাবি সত্য হয়, তাহলে রাশিয়া ইরানকে জানায়নি কেন? নাকি তারাও ভুল করে ভেবেছিল, ইরানের শেষ হয়ে গেছে?’
ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া ছিল অনেকটাই কূটনৈতিক বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ। মস্কো কোনো সামরিক বা রাজনৈতিক সহায়তা দেয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত রাশিয়া তেহরানের পাশে দাঁড়িয়ে ইসরায়েল বা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায়নি।
ইরানে ইসরায়েল ও আমেরিকার হামলায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিলেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তবে ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে না জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
খবরটি শেয়ার করুন