ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা আগের থেকে আরও উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তার ভাইরাসজনিত জ্বর হয়েছে। তা সেরে গেলে যেকোনো দিন ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আজ সোমবার (৮ই সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে পরিচালকের কক্ষে এসব কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
পরিচালক বলেন, ঘটনার দিন নুরুল হক নুরকে হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই তিনিসহ কয়েকজন চিকিৎসক দ্বারা একটি বোর্ড গঠন করে তার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ওনার যেটা সমস্যা হচ্ছিল নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছিল, সেখান থেকে রক্ত পড়ছিল। পরের দিন রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছিল। চোয়ালের হাড় ফ্র্যাকচার ছিল। ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগবে। চোখের রক্ত জমাট ছিল, সেটাও নেই। দৃষ্টিশক্তিকে কোনো সমস্যা নেই।
পরিচালক বলেন, ‘আমরা মাথার ইনজুরি নিয়ে বেশি চিন্তায় ছিলাম। প্রথম সিটিস্ক্যানে রক্ত জমাট দেখা গেলেও তা ছিল সামান্য। পরে আর একটা সিটিস্ক্যান করে কোনো রক্ত জমাট পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলছে, নুরুল হক নুরের মেমোরি লস হচ্ছে, তবে নিউরো সার্জারির চিকিৎসকেরা বলেছেন, এ রকম ইনজুরিতে মেমোরি লস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার (নুর) এখন একটু জ্বর আসছে। আজকে ১০ দিন ধরে হাসপাতালে আছেন তিনি। এত দিন কোনো জ্বর ছিল না। তবে এইটা ভাইরাল জ্বর হবে। অথবা আঘাতের কারণে জ্বর আসতে পারে। তবে ওনার আগে থেকেই ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি সমস্যা আছে। জ্বর সেরে গেলেই ওনাকে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম ও চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হোসনে আরা উসমানী।
উল্লেখ্য, গত ২৯শে আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বল প্রয়োগ করে। লাঠিপেটায় গণঅধিকার নেতা নুরুল হক নুর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
খবরটি শেয়ার করুন