পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের আমেরিকার মাটি থেকে দেওয়া পারমাণবিক হুমকি ঘিরে বিশ্বরাজনীতিতে তোলপাড়। মুনির বলেছেন, ‘আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, প্রয়োজনে অর্ধেক বিশ্বকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাব।’ তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
তবে আসিম মুনিরের উদ্দেশে সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিনের জবাব কোনো অংশে কম বিস্ফোরক ছিল না। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মুনিরের ভাষণ শুনে মনে হচ্ছে, যেন ওসামা বিন লাদেনই স্যুট পরে মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন।’
রুবিনের দাবি, পাকিস্তানকে এখনই ‘স্টেট স্পনসর অব টেররিজম’-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এমনকি, পাকিস্তান ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত মুনিরসহ সব পাক আধিকারিকের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, সিএনএন ও আল জাজিরা জানিয়েছে, এই মন্তব্য শুধু কূটনৈতিক সংকটই নয়, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলেছে। ইউরোপের কয়েকজন প্রভাবশালী বিশ্লেষক বলেছেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।
ভারত সরাসরি কড়া বার্তা দিয়েছে, ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল কাজ করবে না।’ নয়াদিল্লির মতে, পাকিস্তান এভাবে বারবার পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজে ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছে। জাতিসংঘ মহলে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এমন মন্তব্য আন্তর্জাতিক আইন ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির চেতনার বিরোধী। তবে আমেরিকার প্রশাসন এখনো কূটনৈতিক ভাষায় নীরবতা বজায় রেখেছে, যা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে—তারা কী পাকিস্তানের দিকেই ঝুঁকছে?
ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের চোখ এখন ওয়াশিংটনের দিকে। রুবিনের মতো কড়া কণ্ঠ কী হোয়াইট হাউসের নীতিতে প্রভাব ফেলবে, নাকি এই হুমকি আরও একবার রাজনৈতিক সুবিধাবাদের আড়ালে ঢাকা পড়ে যাবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
খবরটি শেয়ার করুন