ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিট। ক্যারিয়ারে ব্যবসাসফল সিনেমা তার কম নেই। এরপরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিট অভিনীত ছবিগুলো আশানুরূপ আয় করতে পারেনি। অবশেষে ‘এফ১’ দিয়ে সেই আক্ষেপ ঘোঁচাতে চলেছেন এ হলিউড তারকা।
গত ২৭শে জুন মুক্তি পেয়েছে ব্র্যাড পিটের নতুন সিনেমা ‘এফ১’। এ ছবি দিয়েই বক্স অফিসে চমক দেখাচ্ছেন ‘ফাইট ক্লাব’ খ্যাত এ তারকা। ছবিটি ইতোমধ্যে বক্স অফিসের আয়ে ঝড় তুলেছে। খবর লস এঞ্জেলেস টাইমসের।
রেসিং ঘরানার এ সিনেমা প্রথম সপ্তাহেই বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ১৪৪ মিলিয়ন আমেরিকার ডলার। যার বেশিরভাগই এসেছে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। আমেরিকার বাইরে থেকে ছবিটি মোট ৮৮.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। নিজ দেশ ও কানাডার বাইরে ব্রিটেন থেকে সর্বোচ্চ আয় (৯.২ মিলিয়ন ডলার) করেছে ছবিটি। আয়ের হিসাবে এরপরই আছে চীন (৯ মিলিয়ন) এবং মেক্সিকোর নাম (৬৬.৭ মিলিয়ন)।
সিনেমাটির গল্প এগিয়েছে এক অবসরপ্রাপ্ত রেসিং চালককে ঘিরে। নতুন এক চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যার রেসিং ট্র্যাকে ফিরে আসা। অবসরপ্রাপ্ত রেসিং চালকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্র্যাড পিট। আর তরুণ চালকের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা ড্যামসন ইদ্রিসকে।
উল্লেখ্য, ‘এফ১’ সিনেমাটি অ্যাপল কোম্পানির জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা, এর আগে তাদের একাধিক সিনেমা বক্স অফিসে তেমন সফলতা পায়নি। প্রথম সপ্তাহের আয় দেখে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন ছবিটি সবচেয়ে ব্যবসাসফল হতে চলেছে। ‘এফ১’ নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ডলার।
এটি পরিচালনা করেছেন জোসেফ কোসিনস্কি এবং প্রযোজক জেরি ব্রাকহেইমার। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ফর্মুলা ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটন সিনেমাটিতে সহপ্রযোজক হিসেবে আছেন। দর্শকদের আরও বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য ছবিতে উচ্চগতির রেসিং দৃশ্যগুলোর চিত্রগ্রহণে উন্নত আইম্যাক্স ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অ্যাপলের বিশ্বব্যাপী ভিডিও বিভাগের প্রধান জ্যাক ভ্যান অ্যামবার্গ বলেন, ‘উদ্দীপনাময় রেসিংয়ের সঙ্গে মানবিক গল্পের দারুণ মিশ্রণ এ ছবিতে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে, যা তাদের সিনেমায় অনন্য এক চলচ্চিত্র অভিজ্ঞতা উপহার দেবে।’
খবরটি শেয়ার করুন