ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচনে অংশ নিতে অনুমতির নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া অমর্ত্য রায়।
আজ সোমবার (৮ই সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। তার আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেন, ‘আশা করছি, আগামীকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিটের ওপর শুনানি হবে।’
জাকসু নির্বাচন ১১ই সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একাংশের প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ থেকে ভিপি পদে প্রার্থী হন অমর্ত্য। এরপর তার প্রার্থিতা বাতিল বিষয়ে ৬ই সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী অমর্ত্য জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪ ও ৮ ধারা মোতাবেক ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত। তাই ভোটার ও প্রার্থী তালিকা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হলো।
এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে এবং সিদ্ধান্তটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে অমর্ত্য আজ সোমবার রিট করেন।
পরে আইনজীবী মানজুর আল মতিন সাংবাদিকদের বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যম প্রচার করেছে যে জাকসু নির্বাচন স্থগিত করার জন্য রিট হয়েছে। খবরটি আসলে সত্য নয়। সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল থেকে অমর্ত্য ভিপি পদে প্রার্থী হন। তার প্রার্থিতা হঠাৎ করে বাতিল করা হয়। সবকিছুর একটা সময় থাকে। প্রার্থী হয়, ভোটার তালিকা হয়, প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই হয়। যাচাই-বাছাই শেষে আপিলের একটা সুযোগ থাকে।
তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচনের অল্প কদিন আগে হঠাৎ করে অমর্ত্য জানতে পারেন যে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এখানে কোনো পর্যায়েই তাকে কোনো শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়নি। কোনো চিঠিও দেওয়া হয়নি। এই সবকিছুর ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার প্রার্থিতা বাতিল করে।
এ নিয়ে অমর্ত্য রিট আবেদন করেছেন বলে জানান মানজুর আল মতিন। তিনি বলেন, রিটে কোনোভাবেই নির্বাচন স্থগিত করার ব্যাপারে প্রার্থনা নেই। একটাই চাওয়া, অমর্ত্য যেন এই নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিযোগিতা করতে পারেন। তার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্যই তিনি আবেদন করেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) অমর্ত্য রায়
খবরটি শেয়ার করুন